নায়িকা রাইমা ইসলাম শিমু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার স্বামী শাখাওয়াত আলী নোবেলসহ দুইজনকে র্যাব গ্রেফতার করেছে । এসময় রক্তমাখা একটি গাড়িও উদ্ধার হয়েছে। এ ঘটনায় বোনজামাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন শিমুর ভাই শহিদুল ইসলাম খোকন।
সোমবার দিবাগত রাতে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলন করেন নায়িকা শিমুর ভাই শহিদুল ইসলাম খোকন।
শহিদুল ইসলাম খোকন জানান, কেরানীগঞ্জ থেকে আমার কাছে লাশ শনাক্ত করার জন্য একটা ফোন আসে। সেখানে গিয়ে আমি নিজে আমার বোনের লাশ শনাক্ত করেছি। এরপর মামলা দায়েরের করি। এতে আমার বোন জামাই নোবেলকে প্রথম আসামি করা হয়েছে। সে এবং ফরহাদ নামের একজন এ কাজ করেছে। তার গ্রেফতার হয়েছে। এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ থানার ওসি আমাদের হেল্প করেছেন।
সন্দেহের তীর জায়েদ খানের দিকে- এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে খোকন বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আল্লাহকে হাজির-নাজির মানি, এটা পুরাপুরি মিথ্যা। আমার বোনের প্রকৃত হত্যাকারীকে পাওয়া গেছে, সে ইতিমধ্যেই কেরাণীগঞ্জ থানায় গ্রেফতার হয়ে আছে। জায়েদ ভাই এটার সাথে কোনোভাবেই জড়িত না।
এ সময় পাশে দাঁড়ানো চিত্রনায়ক জায়েদ খান বলেন, এরকম নোংরা একটা ব্যাপারে আপনাদের সামনে কথা বলতে হবে তা আমি কখনও ভাবিনি। শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে যে নোংরামী শুরু হয়েছে তার অবসান হওয়া দরকার। শিমু এবং তার ভাই দুজনই শিল্পী সমিতির সদস্য, আমি এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। র্যাবকে ধন্যবাদ যে ইতোমধ্যেই তারা আসামিকে ধরে ফেলেছে, স্বীকারোক্তিও নিয়েছে।
ইত্তেফাক/বিএএফ