বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে হেড কোচ এখন দুই জন। ছাঁটাই করলেও কাগজে-কলমে এখনো বাংলাদেশের কোচ জেমি ডে। আগামী আগস্টের আগে নিজের ইচ্ছায় পরিবর্তন না করলে পদবিটা এরকমই থাকবে তার। কিন্তু তার উত্তরসূরী হিসেবে গতকাল বুধবার নতুন কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করেছে বাফুফে। ১১ মাসের এই চুক্তিতে দলের ভেতর লড়াইয়ের মানসিকতার বীজ বুনতে চান স্প্যানিশ কোচ।
বাংলাদেশে কোচ আসে কোচ যায়। প্রচুর টাকা ঢালা হয় কোচের পেছনে। কিন্তু দলের অবনতিটা থামে না। সাড়ে তিন বছর দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশকে র্যাংকিংয়ের ১৮৯তম স্থানে রেখে গেছেন জেমি ডে। এখন অবশ্য জামাল ভূঁইয়ারা আছেন ১৮৬ তে। এখান থেকে কেবল সামনের পথেই হাঁটতে চান ক্যাবরেরা।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ বলেন, ‘আমি মনে করি, এটা আমার জন্য চমৎকার এবং বড় চ্যালেঞ্জ। আমার লক্ষ্য শুরু থেকে একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দল গড়া এবং জাতীয় দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবার সঙ্গে আলোচনা করে তাদের খেলার মানের উন্নতি। পাশাপাশি হাই পারফরম্যান্সের জন্য পরিবেশ তৈরি করা। আমি মনে করি, আমরা সবাই মিলে পরিবেশটা তৈরি করবো|’
চলতি মৌসুমে অনুষ্ঠিত স্বাধীনতা কাপ ও ফেডারেশন কাপ পাখির চোখেই দেখেছেন ক্যাবরেরা। দেখেছেন খেলোয়াড়দের খুঁটিনাটি। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের যে খেলা দেখেছি, তাতে আমি খুবই ইতিবাচক। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে জাতীয় দলের কিছু ম্যাচ দেখার সুযোগ হয়েছে। দলে লড়াকু ফুটবলার আছে; এখানকার লিগও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং আমি নিশ্চিত দলের মধ্যে লড়াইয়ের মানসিকতা আনতে পারবো।’
পুরো দলকে ক্যাবরেরা একসঙ্গে পেতে পারেন আগামী মার্চের ফিফা উইন্ডোর আগে। এর মধ্যে ক্লাবগুলো পর্যবেক্ষণ করবেন তিনি। দেখবেন লিগের খেলা। প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের দায়িত্ব পেলেও উপমহাদেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তার। সেই অভিজ্ঞতা কতটুকু কাজে লাগাতে পারবেন তা সময়ই বলে দেবে।