শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

উৎসবের আমেজে বেচাকেনার ধুম

আপডেট : ২২ জানুয়ারি ২০২২, ০৯:৪৪

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা দর্শনার্থীদের সমাগম দেখে কে বলবে দেশে কনরোনার প্রকোপ বেড়েছে। গতকাল শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) ছুটির দিনে মেলায় মানুষ এসেছে স্রোতের মতো। মেলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ক্রেতা-দর্শনার্থীদের মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিতের পাশাপাশি অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানা হচ্ছে। তবে করোনার প্রকোপ বাড়লেও মেলা বন্ধের কোনো নির্দেশনা নেই। মেলা চলবে।

গতকাল সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় শুক্রবার ক্রেতা-দর্শনার্থীদের আগমনে মুখরিত হয়ে ওঠে মেলা প্রাঙ্গণ। গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রায় ৭০ হাজার মানুষ টিকিট কেটে মেলায় প্রবেশ করে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানা না হলে বাণিজ্য মেলা বন্ধ করে দেওয়া হবে এমন আশঙ্কায় অন্যান্য দিনের তুলনায় ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা গতকাল মাস্ক পরে মেলায় প্রবেশ করে। মেলার স্টলে, প্যাভিলিয়নে ও ঘোরাফেরার সময় ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের মাস্ক পরা নিশ্চিত করা হয়েছে। স্টল মালিক ও কর্মচারীরাও মাস্ক পরে নিজ নিজ পণ্য বিক্রি করছেন। গতকাল সকাল ১১টার পর থেকেই মেলায় ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করে। বিকাল ৪টায় স্রোতের মতো মানুষ মেলায় প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে। বিকাল ৫টার পর থেকে মেলার স্টলগুলোতে কেনা বেচার ধুম পড়ে। জমজমাট হয়ে উঠে মেলা প্রাঙ্গণ। দর্শনার্থীরা ছবি তোলা, কেনাকাটা ও খাবার খাওয়ায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। অধিকাংশই ক্রেতা-দর্শনার্থী-ই অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ করেন। তাতে মেলার প্রবেশদ্বারে ঠেলাঠেলি কিংবা চাপের মুখে কাউকে ভোগান্িততে পড়তে হচ্ছে না। গতকাল মেলায় দর্শনার্থীরা ঘোরাঘুরির পাশাপাশি কেনাকাটাও করেছেন প্রচুর। বিভিন্ন ডিজাইনের দেশি-বিদেশি শো-পিস, কাপড়, অলংকার, তৈজসপত্র, কুটির শিল্প, ইলেকটÌনিক্স, মোবাইল ফোন ও কয়েদিদের উৎপাদিত পণ্য বেশি কেনাবেচা হয়েছে।

কুমিল্লার কোর্টবাড়ী থেকে আসা চাকরিজীবী শফিকুল ইসলাম বলেন, সুযোগের অভাবে এতদিন মেলায় আসতে পারেননি । কিন্তু পত্রিকা-টেলিভিশনে মেলার সংবাদ দেখে ছেলেমেয়েকে নিয়ে এসেছেন। মানুষের চাপে মেলায় ঠিকমতো হাঁটাচলাও করা যাচ্ছে না বলে জানান তিনি। সেলিম আজম ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ অনুজ বলেন, মেলার ২১ দিনের মাথায় গতকাল শুক্রবার ক্রেতাদের আনাগোনা বেড়েছে। বিক্রি হয়েছে প্রচুর। মডার্ণ হারবাল পণ্যের বিক্রয় প্রতিনিধি নুসরাত জাহান বলেন, প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে ।

ভারতের কাশ্মীর থেকে আসা টেনশন ফ্রি শপের মালিক আহমেদ সাকিব বলেন, এবারের মেলায় গতকাল শুক্রবার আশাতীত বিক্রি হয়েছে। বিশেষ করে কাশ্মীরি শাল, শাড়ি আর থ্রি-পিসের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। মেলার আয়োজক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি উন্নয়ন বু্যরোর সচিব ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই মেলা পরিচালনা করা হচ্ছে। দর্শনার্থীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মাস্কবিহীন মেলায় ঘুরাফেরা করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হবে।

ইত্তেফাক/কেকে