শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ভারতীয় ব্যবসায়ীর থেকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব, টেলরের সঙ্গে যা ঘটলো

আপডেট : ২৪ জানুয়ারি ২০২২, ১৭:৪১

ক্রিকেটে ম্যাচ ফিক্সিং করা যেমন অপরাধ ঠিক তেমনই জুয়াড়ির কাছ থেকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়ে সেটি গোপন করাও অপরাধ। দুটোর জন্যই কঠোর শাস্তির বিধান রেখেছে আইসিসি। বাংলাদেশি পোস্টার বয় সাকিব আল হাসানও এমন অপরাধে শাস্তি ভোগ করেছেন। এবার ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব গোপন করে বড় ধরনের শাস্তির মুখে পড়তে যাচ্ছেন জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলর।

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) নিজের অফিশিয়াল টুইটার একাউন্ট থেকে একটি বিবৃতি দিয়েছেন ব্রেন্ডন টেলর। সেখানে ভারতীয় ব্যবসায়ী কর্তৃক ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়া থেকে তা গোপন রাখা এবং ব্ল্যাকমেইলের শিকার হওয়া নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন এই ক্রিকেটার। তবে বিষয়টি নিয়ে আইসিসির পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো শাস্তির পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

টেলর বলেন, ‘আমি আসলে চিন্তিত ছিলাম, না করতেও পারছিলাম না। কারণ, সে সময় জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড (জেডসি) ৬ মাস ধরে আমাদের বেতন দিচ্ছিল না। জিম্বাবুয়ে আর কখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে পারবে কি না তা নিয়েও শঙ্কা ছিল। তাই আমি প্রস্তাব পেয়ে ভারতে চলে যাই। সেখানে আলোচনা (ফিক্সিং নিয়ে) হয়েছিল। শেষ রাতে হোটেলে ব্যবসায়ী এবং তার সহকর্মীদের সঙ্গে আমাকেও ডিনারে নিয়ে যাওয়া হয়।’

টেলরের সেই টুইট

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সেখানে মদ্যপান করেছিলাম। তারা আমাকে কোকেইন (মাদকদ্রব্য) নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল, যা আমি বোকার মত গ্রহণ করেছিলামও। পরদিন সকালে সেই লোক আমার হোটেল রুমে ঢুকে আমাকে ভিডিও (মাদক গ্রহণের) দেখিয়ে হুমকি দেয়। বলে আমি যদি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাদের হয়ে স্পট ফিক্সিং না করি তাহলে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হবে।’

সেখানে ৬ জন মানুষ ছিল জানিয়ে জিম্বাবুয়ের সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, তখন আমি নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে বেশ ভয় পেয়ে যাই। পরবর্তীতে আমাকে ১৫০০০ মার্কিন ডলার দেওয়া হয়। এবং বলা হয় যে ফিক্সিং শেষ হলে আরও ২০০০০ মার্কিন ডলার দেওয়া হবে। আমি সেই টাকা নিতে বাধ্য হই। কারণ, আমাকে বিমানে চড়ে ভারত ত্যাগ করতে হবে। তাছাড়া আমার হাতে অন্য কোনো উপায়ও ছিল না তখন।’

এ সময় কোনো প্রকার ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না বলেও দাবি করেন এই ক্রিকেটার। টেলর বলেন, ‘আমি প্রতারক নই, ক্রিকেটের প্রতি আমার ভালোবাসা অনেক বেশি।’ অবশ্য ঘটনার চার মাস পরই বিষয়টি নিয়ে আইসিসিকে অবহিত করেছিলেন তিনি।

ইত্তেফাক/টিএ