আর মাত্র সাত দিন পর শেষ হচ্ছে এবারের মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। শেষ দিকে এসে মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড় যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে কেনাকাটাও। এখন শীত মৌসুম হওয়ায় ক্রেতারা স্টলে স্টলে ভিড় করছেন পছন্দের শীতবস্ত্র কিনতে। কারো পছন্দ ব্লেজার, কারো জ্যাকেট কিংবা সোয়েটার। সঙ্গে মাফলার। আবার নারীরা কিনছেন পছন্দের শাল। এ ক্ষেত্রে অনেকেরই কাশ্মীরি শাল পছন্দ। হুডি তরুণ-তরুণীদের জনপ্রিয় একটি পোশাক। শুধু ছেলেরাই নয়, মেয়েরাও হুডি পরতে পছন্দ করেন। হুডি, জিন্স, সালোয়ার-কামিজসহ যে কোনো পোশাকের সঙ্গেই মানানসই হয়। পরতে ঝামেলা কম হওয়ায় অনেকেই তা কিনছেন।
গতকাল সোমবার ঢাকার পল্লবী থেকে বাণিজ্য মেলায় এসেছেন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রী নুসরাত জাহান। সঙ্গে এসেছেন তার মা আরজুদা বেগম। নুসরাত জাহান বলেন, মেলায় ঘোরাঘুরির পাশাপাশি ফ্যাশন ও ট্রেন্ড বজায় রেখে শীতের পোশাক কিনতে এসেছি। তার পছন্দের শীতবস্ত্র শাল বলে জানান। নারায়ণগঞ্জের গঙ্গনগর থেকে আসা গৃহবধূ শাহনাজ পারভীন বলেন, মেলার ঘুরতে এসেছি। দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় শীতের পোশাক কিনেছি। গুণমানের ওপর নির্ভর করে ৮০০ থেকে ৫ হাজার টাকায় কাশ্মীরি শাল মেলায় বিক্রি হচ্ছে। নরসিংদীর পাটেরকান্দা এলাকা থেকে আসা সাইফুল ইসলাম বলেন, শো-রুমের অর্ধেক দাম পেয়ে ২ হাজার ২০০ টাকায় একটি ব্লেজার ক্রয় করেছি। ছোট-বড় সব সাইজের দাম একই বলে জানান তিনি। মেলায় পোশাকের স্টল দেওয়া আশিক ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী আব্দুল লতিফ বলেন, গোল-গলা, ভি-গলা, চিকন কলারের নানা ডিজাইনের সোয়েটারে রয়েছে। মেয়েদের উলের তৈরি কার্ডিগানেরও চাহিদাও ভালো বলে জানান তিনি। টপ সেভেনের স্বত্বাধিকারী আক্কাছ আলী বলেন, গত কয়েকদিন ধরে শীত বেড়েছে। তাই মেলায় শীতবস্ত্রের চাহিদাও বেড়েছে। মেলায় শীতবস্ত্রের দাম তুলনামূলক কম বলে জানান তিনি।
কাশ্মীরি শালের দোকান হ্যারিটেজ কোম্পানি লিমিটেডের বিক্রয়কর্মী রিপন চন্দ্র বণিক বলেন, দাম কম ও ফ্যাশনেবল হওয়ায় অনেক নারী শীতের পোশাক হিসেবে কাশ্মীরি শাল কিনছেন। মেলার শেষদিকে এসে বিক্রি ভালোই হচ্ছে বলে জানান তিনি। উল্লেখ্য, পূর্বাচলের এই নতুন স্হায়ী কমপ্লেক্সে গত ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলা। এখন থেকে পূর্বাচলেই বাণিজ্য মেলায় অনুষ্ঠিত হবে।