শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

কারিগরি কলেজের শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে মারধরের অভিযোগ

আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০২২, ২১:১৩

মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার (এমপিও)ভুক্ত কৃষি ডিপ্লোমা কলেজের ৫ শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে মারধরের অভিযোগ উঠেছে  শিক্ষা অধিদফতর ভবনে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।  গত রবিবার  (২৩ জানুয়ারি) এই ঘটনা  ঘটেছে ভুক্তভোগীরা শেরে বাংলানগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে,   গং অত্র অধিদপ্তরে কর্মরত রয়েছেন। অদ্য ২৩-০১-২০২২ বিলা আনুমানিক ১:১৫ মিনিটে ০১. শরীফ আহমেদ, অধ্যক্ষ, আব্দুল কুদ্দুছ সরকার কৃষি কলেজ, ০২। মোঃ হারুনুর রশিদ, অধ্যক্ষ, উত্তরবঙ্গ কৃষি প্রশিক্ষণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট ও ০৩। নিরাময় হাওলাদার, ইনস্ট্রাক্টর, নন-টেক, মাজেদা কৃষি কলেজ, কচুয়া, বাগেরহাট আমরা 

তারা চলমান সংকট নিরসনে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে পরিচালক (প্রশাসন) এস.এম মঈন উদ্দিন আহমেদ তামাদের এক সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। এরপর তারা কাজ শেষ করে বেরিয়ে যাওয়ার পর  অধিদফতরের সহকারী পরিচালক (এডি) বিমল মিশ্র,  মো. কামরুজ্জামান, বিশ্বজিৎ, সাইফুল ইসলাম, শ্যামলের  নির্দেশে একটি সংঘবদ্ধ চক্র অতর্কিত হামলা চালায়।  টেনেহিঁচড়ে অধিদফতরের ভেতরে নিয়ে ৪ ঘণ্টা আটকে রাখে। এ সময়  তাদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতও করে। তবে, কক্ষের বাইরে বিষয়টি জানাজানি হলে বিভিন্ন মিডিয়ার সংবাদকর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের ছেড়ে দেয়। 

 
এই বিষয়ে বাংলাদেশ বেসরকারি কৃষি ডিপ্লোমা অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন,  ‘রবিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকে সঙ্গে কথা বলি আমরা। এসময় অধিদফতরের কর্মরত কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়।’  তিনি আরও বলেন,  ‘প্রায় ১৭ বছর ধরে শিক্ষকতা করলেও ২০১৯ সালে তাদের প্রতিষ্ঠানগুলো এমপিও ভুক্ত হয়। দীর্ঘ ৩ বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত  বেতন-ভাতা দেওয়া হয়নি। এদিকে এমপিও ভুক্ত মাদ্রাসা ও স্কুলের শিক্ষকরা ৬ মাসের মাসের মধ্যে তাদের বেতন-ভাতা পেয়েছেন। আমাদের এমপিও ভুক্ত কৃষি ডিপ্লোমা কলেজের শিক্ষক এবং অধ্যক্ষরা বিগত দুই বছর ধরে দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। কিন্তু কোথাও এর সমাধান পাচ্ছি না।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কারিগরি কলেজের প্রিন্সিপাল ইত্তেফাক অনলাইনকে জানান, কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকে সঙ্গে কথা বলার পর কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক বিমল মিশ্রের সঙ্গে কথা বলতে চান শিক্ষকরা। এর এক পর্যায়ে  অধিদফতরের কর্মরত কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। তারা ভবনের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেন। এরপর  কয়েকজন মিলে ৫ জন শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে মারধর করেন। তিনি আরও জানান, পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে গুরুতর আহত ৫ জন শিক্ষককে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর থেকে উদ্ধার করে সোহোরাওয়ার্দি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে  নিয়ে যায়।

এদিকে, এ ব্যাপারে একাধিকবার কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মো. হেলাল উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

শেরে বাংলা নগর থানার ওসি উৎপল বড়ুয়া ইত্তেফাক অনলাইনকে বলেন, ‘আহত শিক্ষকরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আবার কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের পক্ষ থেকেও অভিযোগ করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।

ইত্তেফাক/এএইচপি