দেশের মানুষ দুই ডোজ মিলিয়ে সাড়ে ১৪ কোটি টিকা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ৮ কোটি ৯১ লাখ ৬৩ হাজার ৯৭৮ জনকে প্রথম ডোজ এবং ৫ কোটি ৭০ লাখ ২০ হাজার ৮৩৪ জনকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। মোট ১৪ কোটি ৬১ লাখ ৮৪ হাজার ৮১২ জন টিকা পেয়েছেন।’
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের ১৬তম অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে টাঙ্গাইল-৬ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলামের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সারাবিশ্বের মতো দেশের মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাংলাদেশ সরকারও চলমান কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রমের আওতায় বুস্টার ডোজ প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ বিষয়ে ন্যাশনাল ইম্যুনাইজেশন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ, বাংলাদেশের সুপারিশ অনুযায়ী এবং করোনাভাইরাস টিকাদান কার্যক্রম বাস্তবায়ন সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির অনুমোদনক্রমে দেশব্যাপী গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে বুস্টার ডোজ প্রদান শুরু করা হয়েছে। বর্তমানে দেশে ষাটোর্ধ্ব জনগোষ্ঠী, সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মী ও বিদেশগামী কর্মীদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘করোনা টিকা আবিষ্কার ও ব্যবহারের অনুমতি প্রাপ্তির পূর্ব থেকেই আমরা টিকা সংগ্রহ ও টিকা প্রদানের বিষয়ে সকল উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলাম। তারই ফলস্বরূপ দেশব্যাপী ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি বিনামূল্যে কোভিড টিকাদানের কার্যক্রম শুরু হয় এবং তা অব্যাহত রয়েছে।’
উল্লেখ্য, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের পর যাদের ৬ মাস অতিক্রান্ত হয়েছে তাদেরকেই বুস্টার ডোজ প্রদান করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্যদেকেও এই বুস্টার ডোজের আওতায় আনা হবে। গত ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ৭ লাখ ৪১ হাজার ২৬৫ জনকে বুস্টার ডোজ প্রদান করা হয়েছে। বাসস