ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিউটে সহকারী অধ্যাপকের একটি পদে নিয়োগ স্থগিত করার নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত। নিয়োগে অনিয়ম হচ্ছে এমন অভিযোগে ড. শহীদুল ইসলাম নামে একজন প্রার্থী হাইকোর্টে রিট করলে এমন আদেশ দেন হাইকোর্ট। কিন্তু আদালতের নির্দেশনার পর নতুন কৌশল অবলম্বন করে ঐ পদে শিক্ষক নিয়োগ দিতে যাচ্ছে ইনস্টিটিউটটি।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের এপ্রিলে পাঁচটি পদে সহকারী অধ্যাপক চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সবগুলো পদে নিয়োগ হলেও গণিত বিষয়ে এক প্রার্থীকে ভাইভা কার্ড না দেওয়ায় তিনি রিট করেন। রিট করার পর আদালত স্থগিতাদেশ দিলেও ২০২১ সালে এসে নতুন কৌশলে বিজ্ঞপ্তি দেয় প্রশাসন। নতুন বিজ্ঞপ্তিতে কোনো বিষয়ের কথা উল্লেখ না করে লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি যোগ্যতা হিসেবে ধরা হয়। এমনকি বিজ্ঞপ্তিটি প্রথম সারির কোনো পত্রিকায়ও ছাপা হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অফিসের এক কর্মকর্তা বলেন, তৎকালীন সময়ে (২০১৯) ইনস্টিটিউট থেকে গণিত বিষয়ে ১১ জন প্রার্থীর নাম পাঠানো হয়। কিন্তু ঐ রিটকারী প্রার্থীর ফলাফল নিম্নমানের দেখে তৎকালীন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমেদ ভাইভা বোর্ডের কার্ড দেননি। কিন্তু বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও ভাইভা কার্ড না পাওয়ায় রিট করেন তিনি। রিটকারী প্রার্থীর দাবি, বিজ্ঞপ্তিতে কোনো বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের উল্লেখ না করায় আদালতের নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এ ধরনের কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, আদালতের স্থগিতাদেশ যে পদে দেওয়া হয়েছিল সে পদটি খালিই রয়েছে। আমরা অন্য একটি পদে শিক্ষক নেওয়ার জন্য আবেদন আহ্বান করেছি।
তবে ২৬ ডিসেম্বর ২০২১ সালের ইনস্টিটিউটের সিএন্ডডি কমিটির কার্যবিবরণীতে ঐ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী গণিতের দুজন শিক্ষক আবেদন করেছে বলে উল্লেখ রয়েছে। তারা হলেন মাহাবুবুর রহমান খান ও তুষার সরদার। তাদের আগামীকাল বিজি বোর্ডে নিয়োগ প্রদানের কথাও রয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল বলেন, ভাইভা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী নেওয়া হয়েছে। তবে নিয়োগের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।