বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

অবশেষে যবিপ্রবিতে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন নিপুণ

আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২০:০৭

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের বিশেষ নির্দেশে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন নিপুণ বিশ্বাস। মানবিক দিক ও নিপুণের পারিবারিক অবস্থা বিবেচনা করে তার ভর্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্যবিজ্ঞান অনুষদে নিপুণের ভর্তি সম্পন্ন করা হবে।

মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটির জরুরি সভায় নিপুণের ভর্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

রবিবার (৩০ জানুয়ারি) যবিপ্রবির স্বাস্থ্য বিজ্ঞান অনুষদের শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের ৩য় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সোমবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে উপস্থিত হয়ে ভর্তি সম্পন্ন করতে বলা হয় শিক্ষার্থীদের।

নিপুণ বিশ্বাস ক্যাম্পাসে পৌঁছান ১২টা ১০ মিনিটে৷ এর আগেই ভর্তি কার্যক্রম শেষ হয়ে যায়। এরপর আর অনুনয়-বিনয় করেও কাজ হয়নি।

পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে বিষয়টি অবহিত করা হলে তিনি মানবিক দিক বিবেচনা করে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগে একটি আসন বর্ধিত করে নিপুণকে ভর্তি করানোর জন্য ডিনস কমিটিকে অনুরোধ করেন।

সোমবার রাতেই '১৫ হাজার টাকা গাড়িভাড়া দিয়ে এসেও ভর্তি হতে পারলেন না নিপুণ' শিরোনামে ইত্তেফাক অনলাইনে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যমে এটি প্রচার হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। অবশেষে ভর্তির সুযোগ পেলেন নিপুণ বিশ্বাস। এতে তিনি আনন্দ প্রকাশ করেছেন।

যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, নিপুণ বিশ্বাস সমাজের একটি অনগ্রসর পরিবারের সদস্য, আমি এটা জানতে পেরে ডিনস কমিটির জরুরি সভার নির্দেশ দিই। আশার কথা হচ্ছে, যবিপ্রবির স্বাস্থ্যবিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি কার্যক্রম শেষ হলেও আগামীকালই সে ভর্তি হতে পারবে। যবিপ্রবি প্রশাসন সব সময় শিক্ষার্থীদের প্রতি সহানুভূতিশীল। যবিপ্রবির শিক্ষার্থীসহ যারা এ ঘটনা প্রশাসনের নজরে আনতে সহায়তা করেছেন, তাদের সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

ডিনস কমিটির আহ্বায়ক ড. মো. মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে ডিনস কমিটির জরুরি সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব, জীববিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জিয়াউল আমিন, স্বাস্থ্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. তানভীর ইসলাম, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. সুমন চন্দ্র মোহন্ত, কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন।

 

ইত্তেফাক/এসটিএম