গভীর বঙ্গোপসাগরে ৮টি বড় ফিশিং ট্রলার ও বঙ্গোপসাগরের ৬ নম্বর বয়া এলাকায় ১২টি মাঝারি ফিশিং ট্রলারসহ মোট ২০টি ছোট-বড় মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেছে। শুক্রবার দিবাগত রাত ১০টার দিকের পূর্ব সুন্দরবনের দুবলার চর থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে আকস্মিক ঝড়ের কবলে পড়ে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাত থেকে ২ জেলেসহ তিনজন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়া বৃষ্টিতে দুবলারচরের বিপুল পরিমাণ মাছ বিনষ্ট হয়েছে।
দুবলা ফিসারমেন গ্রুপের সভাপতি মো. কামাল উদ্দিন মোবাইল ফোনে জানান, শুক্রবার দিবাগত রাতে হঠাৎ ঝড়ে সাগরে মাছধরারত দুবলারচরের ২০টি ছোট জেলেবোট সাগরে ডুবে গেছে। এ ঘটনায় দুইজন জেলে নিখোঁজ হয়েছে। নিখোঁজ জেলেরা হচ্ছে, রামপাল উপজেলার ইসলামাবাদ, গ্রামের মফিজুল ( ২৮) ও দুর্গাপুর গ্রামের শাহিনুর (২৫) ।
বঙ্গোপসাগরে মাছধরারত ফিসিংবোট এফবি সাগর-১,র মাঝি পিরোজপুরের বগা গ্রামের সাইদুল ইসলাম শনিবার সকালে মোবাইলফোনে ইত্তেফাককে জানান, শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে তারা দুবলারচর থেকে ৪০/৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে গভীর সাগরে মাছ ধরছিলেন এসময় আকস্মিক ঝড়ে উত্তাল সাগরে বগা এলাকার দুটি ফিসিংবোট ডুবে গেছে। ডুবে যাওয়া ফিসিংবোট গুলো হচ্ছে এফবি মায়েরদোয়া এবং এফবি আনিস। ডুবে যাওয়া বোটের জেলেদের অন্য জেলেদের বোটে উদ্ধার করলেও মায়েরদোয়া বোটের বাবুর্চি বাদল নিখোঁজ রয়েছে বলে ঐ মাঝি সাইদুল জানিয়েছেন।
বনবিভাগের দুবলা শুটকি পল্লী টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রহ্লাদ চন্দ্র রায় জানান, নিঁখোজ জেলে ও ডুবে যাওয়া ট্রলার উদ্ধারে শনিবার সকাল থেকে সাগরে অভিযান শুরু করেছে নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড ও বনবিভাগ। সেই সাথেও উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে দুবলার চরের প্রায় একশতটি ট্রলার দিয়েও। তিনি বলেন, সাগরে ডুবে যাওয়া ১৮টি ট্রলারই দুবলার চরের। তবে নিখোঁজ দুই জেলের নাম পরিচয় জানা যায়নি। এদিকে গত রাতে ঝড় বৃষ্টিতে দুবলার চরের প্রায় ২ কোটি টাকার শুটকির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান বন কর্মকর্তা প্রহ্লাদ চন্দ্র রায়।
কোষ্টগার্ড আলোরকোল কন্টিনজেনটের পেটি আফিসার মো. মাসুম বিল্লাহ শনিবার সকালে মুঠোফোনে ইত্তেফাককে জানান, শুক্রবার রাতের ঝড়ে সাগরে আলোরকোলের মাছধরা বোট ও জেলেদের নিখোঁজের খবর পেয়ে তারা সাগরে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছেন।