শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ১৭ চৈত্র ১৪২৯
দৈনিক ইত্তেফাক

খুলনায় ৩ তলা ভবনে ফাটল

আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২৩:২২

খুলনা মহানগরীর বাগমারা এলাকায় তিনতলা একটি ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। ড্রেন সংস্কারের জন্য খোঁড়াখুঁড়ি করায় পুরাতন এই ভবনে ফাটল সৃষ্টি হয়। এছাড়া ভবনটি সামান্য হেলে পড়ায় বাঁশ দিয়ে ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে।

এদিকে, ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতেই ভবনের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়। একই সঙ্গে ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

নগরীর বাগমারা মেইন রোড এলাকার এ ভবনটির মালিক মৃত মহিউদ্দিন আহমেদ। তার মৃত্যুর পর স্ত্রী-সন্তানরা এখানে বসবাস করেন। এ ভবনের দ্বিতীয়তলায় বাড়ির মালিকের পরিবার এবং নিচতলা ও তৃতীয় তলার ভাড়াটিয়া মিলে মোট ১১টি পরিবার বসবাস করেন।  

ভবন হেলে পড়ার  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের খুলনা বিভাগীয় উপ-পরিচালক বাবুল চক্রবর্তী। তিনি বলেন, বাগমারা এলাকায় ৫২ নম্বর ভবনটি ডানদিকে সামান্য হেলে পড়েছে। এছাড়া পাশের আরও দুটি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ফলে ভবনে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে, তারা ওই ভবন থেকে কোনো মালামাল বের করতে পারেননি। এছাড়া ঝুঁকি এড়াতে ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। ভবনে প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।  

ভবনে ফাটল ধরার কারণ হিসেবে তিনি আরও বলেন, পাশে ড্রেনেজ প্রকল্পের কাজ চলছিল। সেখানের নিচ থেকে মাটি সরে গেছে। এ কারণেই ভবন হেলে পেড়েছে। এছাড়া ভবনটি সামান্য হেলে পড়ায় বাঁশ দিয়ে ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে।

ভবন মালিকের জামাই তৌফিকুর রহমান অভিযোগ করেন, ড্রেন সংস্কারের জন্য ১৫-১৬ দিন ধরে মাটি কাটায় বাড়িটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।  তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর ভবনের নিচের অংশে সামান্য ধসে পড়েছে। আমাদের ভবনের পাশে ড্রেনেজ প্রকল্পের কাজ চলছিল। এ কারণেই বিল্ডিং হেলে পড়েছে।  

হেলে পড়া ভবনের সামনে উৎসুক জনতার ভিড়।

তিনি আরও জানান, ভবনটি পাকিস্তান আমলে তৈরি। যার বয়স পঞ্চাশের ওপরে। ভবনটি প্রায় ২৫ বছর আগে পাকিস্তানি মালিকের কাছ থেকে তার শ্বশুর কিনেছিলেন। এখানে তাদের পরিবার-পরিজনসহ ১১টি পরিবার বসবাস করেন।

কেসিসির সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাজেদা বেগম বলেন, ভবনে ফাটল ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি ঘটনাস্থলে আসেন। বিষয়টি সিটি মেয়রকে জানানো হয়েছে। এখন বালুর বস্তা ফেলে ড্রেনের মাটি খোঁড়ার অংশ ভরাট করা হচ্ছে। বুধবার সেখানে ঢালাই দেওয়া হবে। 

 

ইত্তেফাক/ইউবি