বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বিদেশে বসে দেশে চোর চক্র চালান নাসির

আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৮:০৭

ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার  এ কে এম হাফিজ আক্তার জানিয়েছেন, ২০ বছর ধরে চুরির সঙ্গে জড়িত নাসির। সাত বছর আগে তিনি অবৈধভাবে ফ্রান্সে চলে যান। সেখানে বসে একটি চোর চক্রের হোতা হিসেবে কাজ করছেন নাসির। 

রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মিন্টোরোডের ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য তুলে ধরেন।

তিনি জানান, রাজধানীর কচুক্ষেত এলাকার রজনীগন্ধা মার্কেটের রাঙাপরি জুয়েলার্সে চুরির ঘটনায় একটি চক্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। এই চক্রের হোতা ও অর্থদাতা ফ্রান্স প্রবাসী নাসির। সেখানে বসে তিনি দেশে চোর চক্র পরিচালনা করেন। নাসিরের সহযোগিতা হিসেবে কাজ করেন মঞ্জুরুল হাসান শামীম (৩৩)। শামীমকে গ্রেফতারের পর এ চক্রের বিষয়ে তথ্য পায় ডিবি।

এর আগে গাজীপুরের কড্ডা ও মুন্সীগঞ্জের বজ্রযোগিনী এলাকায় অভিযান চালিয়ে শামীমকে গ্রেফতার ও স্বর্ণ বিক্রির সাড়ে ৯ লাখ টাকা উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হাফিজ আক্তার জানান, রজনীগন্ধা টাওয়ারের নিচতলার রাঙ্গাপরী জুয়েলার্স থেকে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ৩০০ ভরি স্বর্ণ, ইমিটেশন গহনা ও নগদ টাকা  চুরি হয়। চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে এই দোকানটিতে চুরির কৌশল ঠিক করে। তারই অংশ হিসেবে চক্রের সদস্য মাসুদ ও ইলিয়াস মার্কেটের সিকিউরিটি গার্ড ও সুইপারের চাকরি নেন। চাকরিরত অবস্থায় তারা চক্রের অন্য সদস্যের সঙ্গে চুরির বিষয়ে পরিকল্পনা করেন।  পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনার আগের দিন চক্রের সদস্য শাহীন মাস্টার এই মার্কেটে একটি দোকান ভাড়া নেন। দোকানে মালামাল তোলার নামে তারা তালা ভাঙার সরঞ্জামাদি মার্কেটে প্রবেশ করান। ঘটনার রাতে চক্রের দুই সদস্য শ্রীকান্ত ও তালা ভাঙার মিস্ত্রী রাজা মিয়া মার্কেটে প্রবেশ করেন। পরে তারা দোকানে চুরি করে পালিয়ে যান। চুরির পর তারা কেরানীগঞ্জ থানার হাসনাবাদ এলাকার ভাড়া বাসায় চলে যান। ওই বাসায় আগে থেকেই অবস্থান করছিলেন শাহীন মাস্টার ও গ্রেফতার মঞ্জুরুল হাসান শামীম।  পরে  শ্রীকান্ত চুরি করা স্বর্ণ তার পূর্ব পরিচিত এক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দেন। স্বর্ণ বিক্রির টাকা নিজেদের মধ্যে  ভাগ করে নিয়ে সবাই আত্মগোপনে চলে যান।

গ্রেফতার শামীম গোয়েন্দা পুলিশকে জানিয়েছে, চক্রের হোতা ফ্রান্স প্রবাসী নাসির। তিনি শামীমের মাধ্যমে পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ও প্রাথমিক অর্থের যোগান দিয়ে থাকেন। এই চক্রের প্রত্যেক সদস্যের আলাদা দায়িত্ব নির্ধারণ করা থাকেন। 

উদ্ধার করা স্বর্ণালঙ্কার ও  টাকা।

বিদেশে থাকা নাসিরের বিষয়ে জানতে চাইলে হাফিজ আক্তার জানান, নাসির পেশাদার চোর। তিনি সাত বছর আগে ফ্রান্সে চলে যান। প্রবাসে বসে একটি চোর চক্রের অর্থদাতা হিসেবে কাজ করছেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি বাগেরহাট জেলায়। নাসির ২০ বছর ধরে চুরির সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে কতগুলো মামলা রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।



ইত্তেফাক /কেএইচ/ইউবি