রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান প্রার্থীর কাছে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে এক প্রার্থীকে জয়ী করতে সাড়ে চার লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে।
রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের এক আদেশে তাকে বরখাস্ত করা হয়। এ বিষয় নিশ্চিত করেছেন রংপুর বিভাগীয় নির্বাচন কর্মকর্তা জিএম শাহাতাব উদ্দিন।
রংপুরের নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের আগে বালারহাট ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান বলেছিলেন, নির্বাচনে কম ভোট পেলেও ফল ঘোষণার সময় তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। এ জন্য নির্বাচন কর্মকর্তার সঙ্গে ওই ইউপি সদস্যের সাড়ে চার লাখ টাকার চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী তিন লাখ টাকা তাকে প্রদান করেন ইউপি সদস্য প্রার্থী রফিকুল ইসলাম।
নির্বাচন কর্মকর্তার সঙ্গে ওই ইউপি সদস্যের ফোনালাপের অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে তোলপাড় শুরু হয়। ভোট গ্রহণের আগে প্রার্থী ও নির্বাচন কর্মকর্তার এমন গোপন চুক্তির অডিও ফাঁস হওয়ায় নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে ওই ওয়ার্ডের অন্য প্রার্থীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে নির্বাচনের আগেই মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল হান্নানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে কুড়িগ্রাম নির্বাচন অফিসে সংযুক্ত করা হয়। তার স্থলে পীরগাছা নির্বাচন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে অভিযুক্ত নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান শুরু থেকেই বিষয়টি অস্বীকার করে আসছেন।
এ ঘটনায় নির্বাচন কমিশন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পর প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল হান্নানকে বরখাস্ত করা হয়।
এ ব্যাপারে রংপুর বিভাগীয় নির্বাচন কর্মকর্তা বলেছেন, বিষয়টি সিরিয়াসলি নিয়েছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন।