গত বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে টালিউডের প্রথম সারির তারকারা রাজনীতির রং গায়ে লাগিয়ে সেজে উঠেছিলেন। আর সেই ধারাবাহিকতায় বিজেপিতে যোগ দেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জী। বেহালা পশ্চিম কেন্দ্র থেকে ভোটযুদ্ধে লড়াই করে লজ্জাজনকভাবে হেরেছেন এই অভিনেত্রী। ভোটে পরাজিত হওয়ার পর থেকেই দলটির সঙ্গে বাড়তে থাকে দূরত্ব। অবশেষে বিজেপি ছাড়ার ঘোষণা দেন তিনি।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল থেকে বহরমপুর পৌরসভার ৭, ১৪, ১৫, ২৫, ২৮-সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থীদের ভোটের প্রচারে যোগ দেন শ্রাবন্তী। পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত দাস এবং ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী রিতা হালদারের ভোটের প্রচারের সভায় অভিনেত্রী পৌঁছাতেই এলাকাবাসীর মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা যায়।
এ সময় শ্রাবন্তী বলেন, বহরমপুরে প্রথম প্রচারে এসে খুব ভাল লাগছে, ব্যাপক উন্মাদনা দেখা যাচ্ছে শহরের মানুষের মধ্যে। পাশাপাশি আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি তৃণমূল প্রার্থীদের বিপুল ভোটে জয়ী করার আহ্বান জানান তিনি।
অন্যদিকে এদিন সন্ধ্যায় বহরমপুরের খাগড়ার নেতাজি মোড়ে যুব তৃণমুল রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ প্রচার সভায় উপস্থিত হন। পৌরসভার ৬, ১১, ১২, ১৩ নম্বরসহ শহরের আরও তিনটি স্থানে সভা করেন তিনি।
প্রচারের মধ্যেই যুব তৃণমূলের সভানেত্রী জানান, বহরমপুরের মানুষ বোধ হয় একটু কম বিশ্বাস করে তৃণমূলকে। ফলে আগের বার ঘাসফুল শিবিরকে ভোট দেননি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একের পর এক উন্নয়নে এবার মানুষ দু’হাত ভরে ভোট দেবেন বলে বিশ্বাস সায়নীর।
বিরোধীদের প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সায়নী জানান, কারও সম্পর্কে কথা বলে এক্সট্রা মাইলেজ দিতে চান না তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার মাঠে কাজ করছে। তার ফল অবশ্যই পাওয়া যাবে। বিভিন্ন সভায় জনজোয়ার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে যুব নেত্রী জানান, এ সবই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের জোয়ার।