রাজধানীর বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ওঁৎপেতে থাকতো চক্রটির সদস্যরা। সুযোগ মতো যাত্রী বা পথচারীর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে দৌড় দিতো তারা। চক্রটি রাজধানীর গাবতলী, কল্যাণপুর, কমলাপুর, যাত্রাবাড়ী ও কাঁচপুর ব্রিজসহ বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে তাদের কার্যক্রম করে আসছিল। চক্রটি গত চার মাসে ৪৫৫টি মোবাইল ছিনতাই করেছে।
সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ছিনতাই চক্রের সদস্যদের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে র্যাব-৩। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকা থেকে সংঘবদ্ধ মোবাইল ফোন ছিনতাই চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। তারা হলেন- জাহাঙ্গীর (৪০), সাজু মণ্ডল সাহাজুল (৪৫), জাকির হোসেন (৩৪), রাসেল ওরফে মিঠু (৩০) ও মোক্তার হোসেন (৩৩)। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে ৪৫৫টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের অ্যান্ড্রয়েডসহ বাটন মোবাইল ফোন ও নগদ ১৮ হাজার ৯৫০ টাকা জব্দ করা হয়। শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর টিকাটুলি র্যাব-৩ সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-৩ এর সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর জুলকার নায়েন প্রিন্স।
মেজর জুলকার নায়েন জানান, চক্রটির ১০ সদস্যকে চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে অভিযান চালিয়ে চক্রের আরও ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চক্রটি রাজধানীর বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডকেন্দ্রীক সক্রিয়। চক্রটি অনেক সময় পথচারীদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে সর্বস্ব লুটে নেয়। এছাড়া তারা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পকেটমার করে থাকে।
তিনি আরও জানান, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন থানায় সাজু মণ্ডলের নামে তিনটি, রাসেলের নামে দুটি ও মোক্তার হোসেনের নামে দুটি মামলা রয়েছে। ওই মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ভোগ করেছে তারা। তবে কারাগার থেকে ছাড়া পাওয়ার পর আবারও অপরাধের সঙ্গে নিজেদের জড়িয়ে পড়ে তারা।
চোরাই মোবাইল কাদের কাছে বিক্রি করে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, চক্রটি মোবাইল ফোন বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে। ব্যবসায়ীরা কম দামে কিনে, অধিক দামে বিক্রি করে।