রোববার, ২৬ মার্চ ২০২৩, ১১ চৈত্র ১৪২৯
দৈনিক ইত্তেফাক

‘দুটি সেপটিক ট্যাংক না থাকলে ভবনের নকশা পাস নয়’

আপডেট : ১৩ মার্চ ২০২২, ১৯:৩৮

স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা শহরে অপরিকল্পিতভাবে আইন ভঙ্গ করে নিয়ম বহির্ভূতভাবে আমরা অনেক উন্নয়ন কাজ করছি। এটা আমি করেছি, আপনি করেছেন- এই করেছে, সেই করেছে। সবার জন্য ক্লিয়ারলি আমি কথাটা বলি, একটি বাড়ির নকশা অনুমোদন দিতে হলে পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য অবশ্যই অন্তত দুইটা সেপটিক ট্যাংক থাকতে হবে।

রবিবার (১৩ মার্চ) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগে নগর ভবনে আয়োজিত 'নিরাপদ পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা: আমাদের করণীয় শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরে আইন ও বিধি-বিধান লঙ্ঘন করে অপরিকল্পিতভাবে অনেক অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। ঢাকা শহরের ৯৯ শতাংশ অবকাঠামো নির্মিত হয়েছে নিয়ম অমান্য করে। রাজধানীর অধিকাংশ বাসা-বাড়িতে সেপটিক ট্যাংক নেই। আর এই সেপটিক ট্যাংক না থাকায় সুয়ারেজ লাইন খাল ও লেকে সরাসরি সংযুক্ত করে দেন। এতে করে খাল ও লেকের পানি দূষিত হয়ে মাছসহ অন্যান্য প্রাণী বাঁচে না।

পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা জন্য সেপটিক ট্যাংক না রেখে কোনও বাসা-বাড়ি নির্মাণের অনুমতি দেওয়ার সুযোগ নেই। নকশা অনুমোদন দেওয়ার পূর্বে এসব বিষয়ে আরও সতর্ক থাকার জন্য রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (রাজউক) নির্দেশ দেন মো. তাজুল ইসলাম।

প্রধান অতিথি আরও বলেন, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ার কারণে ভোগ বেড়েছে। পাশাপাশি বৃদ্ধি পেয়েছে ময়লা-আবর্জনা। আগে একটি ব্যাগে অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেওয়া হতো। এখন প্রতিটি উপকরণের সঙ্গে একটি ব্যাগ দেওয়া হয়। যার ফলে বাসা-বাড়িতে ময়লা বেশি হয়। স্বাভাবিকভাবেই এই ময়লা আবর্জনা একটি ব্যবস্থাপনার মধ্যে আনা চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে। আর এই চ্যালেঞ্জ শুধু আমাদের দেশে নয় পৃথিবীর অন্য দেশেও রয়েছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করছে সরকার। খুব শিগগিরই ময়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবস্থা বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

তিনি জানান, রাজধানী ঢাকাকে একটি আধুনিক, দৃষ্টিনন্দন ও বসবাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়তে উভয় সিটি করপোরেশন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক দখল হওয়া খাল উদ্ধার করা হয়েছে। খালগুলো সংস্কার ও পুনঃখনন করে নৌ চলাচলের উপযোগী করার কাজ চলছে। এসব কাজ শেষ হলে শহরের অনেক পরিবর্তন আসবে।

ইত্তেফাক/এমএএম