নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম হয়ে টেপারহাট যাওয়ার রাস্তাটি ভেঙে গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে উপজেলার ১০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। ভেঙে অংশ মেরামতে জনপ্রতিনিধিদের কাছে একাধিকবার আবেদন করেও কোনো লাভ হয়নি।
উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের পশ্চিম দলিরাম মণ্ডলপাড়া গ্রামের আব্দুল লতিফ জানান, গত বছর বন্যার সময় তার বাড়ির সামনের রাস্তাটি ভেঙে যায়। ভেঙে যাওয়া অংশ মেরামত না করায় অনেক কষ্টে চলাচল করছে ১০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। গাড়াগ্রামের ভিতর দিয়ে গাড়িতো দুরের কথা ভ্যান প্রবেশ করার কোনো উপায় নেই। রাস্তাটি এখন ১০ গ্রামে আপদে পরিণত হয়েছে। রাস্তাটি মেরামতের জন্য গত এক বছর ধরে মেম্বার, চেয়ারম্যান এমনকি প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়েও কোনো কাজ হয়নি।
গাড়াগ্রাম উত্তরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আনিসুল ইসলাম জানান, মণ্ডলপাড়া হয়ে টেপারহাট যাওয়ার রাস্তার বেশ কয়েকটি স্থান ভেঙে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে হাজার হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
গাড়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জোনাব আলীর বলেন, ‘আমি নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। ইউনিয়নের কোথায় কি সমস্যা আছে তা জানার চেষ্টা করছি। ওই সড়কের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল হাসনাত সরকার বলেন, ‘ভেঙ্গে যাওয়া সড়ক সংস্কারের বিষয়ে আমার কাছে কেউ আসেনি। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। জানলে অবশ্যই ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিক দিয়ে সড়কটি সংস্কার করে দিতাম।’
বর্তমানে সড়কটি সংস্কারের জন্য কোনো পদক্ষেপ নেবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি খোঁজ খবর নিয়ে সড়কটি মেরামতের ব্যবস্থা করবো।