বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

‘সবার চেষ্টা ছিল এই সিজনটিও ভালো করার, যেন দর্শকরা পছন্দ করেন’ 

আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২২, ০২:২৭

ছোটপর্দার পাশাপাশি ওয়েব সিরিজ-সিনেমাতেও অভিনয় করছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী রুনা খান। প্রচার শুরু হচ্ছে তার ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস রিলোডেড’ নাটকটি। এছাড়া মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে একটি সিনেমা। পাশাপাশি একাধিক ঈদের নাটকের কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছেন তিনি। নিজের অভিনয় ভাবনাসহ ইন্ডাস্ট্রির নানা বিষয়ে তিনি কথা বললেন ইত্তেফাকের সঙ্গে। সাক্ষাত্কার নিয়েছেন এ এম রুবেল।

‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস রিলোডেড’ প্রচার শুরু হচ্ছে। প্রথম সিজনের জনপ্রিয়তায় দ্বিতীয় সিজনের কাজে আপনাদের কতটা চ্যালেঞ্জ নিতে হয়েছে এবং ভিন্নতা কী থাকছে?

এখানে ‘চ্যালেঞ্জ’ বা ‘ভিন্নতা’ শব্দগুলো আমি বলতে চাচ্ছি না। তবে এটুকু বলতে পারি, সিরিজটির কাজ করতে গিয়ে অভিনেতা-অভিনেত্রী, পরিচালক থেকে শুরু করে ইউনিটের সবাই একটা পরিবারের মতো হয়ে গেছি। আমরা আমাদের দিক থেকে অনেক আনন্দের সঙ্গে কাজটি করেছি। তাছাড়া প্রথম সিজন জনপ্রিয় হওয়ার কারণেই কিন্তু দ্বিতীয় সিজন আসছে। সেই জায়গায় সবার চেষ্টা ছিল এই সিজনটিও ভালো করার, যেন দর্শকরা পছন্দ করেন। কাজটি আগের চেয়ে ভালো হতে হবে এমন চিন্তা ছিল না।

এর বাইরে অন্য কোন কাজগুলো নিয়ে ব্যস্ত আছেন?

ফ্যামিলি ক্রাইসিসের বাইরে আসছে ঈদের বেশ কয়েকটি একক নাটকের কাজ করছি। এছাড়া কিছুদিন আগে পঙ্কজ পালিত ‘একটি না বলা কথা’ শিরোনামের একটি সরকারি অনুদানের সিনেমার কাজ শেষ করেছি। সিনেমাটি মুক্তির অপেক্ষায় আছে।

সম্প্রতি আপনার ‘সাবরিনা’ নামের একটি ওয়েব সিরিজ মুক্তি পেয়েছে। কাজটি প্রসঙ্গে জানতে চাই। দর্শক প্রতিক্রিয়া কেমন পাচ্ছেন?

এর আগেও আশফাক নিপুনের ‘কষ্টনীড়’ শিরোনামের একটি ওয়েব ফিল্মে অভিনয় করেছি। এটা তার সঙ্গে দ্বিতীয় কাজ। কষ্টনীড় দিয়ে দারুণ দর্শক প্রতিক্রিয়া পেয়েছিলাম। আর সাবরিনা আমি গতকালই দেখলাম। এতে একই নামে দুটি মেয়ে, নামে নাজিয়া হক অর্ষা এবং মেহজাবীন অভিনয় করেছেন। তারা দু’জনই ভালো অভিনয় করেছেন। দিনার ভাইও ভালো দারুণ অভিনয় করেছেন। এছাড়া বাকি চরিত্রগুলোকে আমি অতিথি চরিত্র বলতে পারি। তবে সবাই ভালো কাজ করেছেন এবং দর্শকরাও বেশ প্রশংসা করছেন।

গল্পনির্ভর কাজ বেশি হওয়ায় আপনারা যারা হিরো-হিরোইন চরিত্রের বাইরে অভিনয় করেন তাদের কাজের ক্ষেত্রটি প্রসারিত হচ্ছে কি-না?

না, আমার মনে হয় এখনও সে রকম পরিস্হিতি তৈরি হয়নি। ভারতের দিকে লক্ষ্য করলে দেখবেন সেখানে বিগ বাজেটের সিনেমা হলে আলিয়া-দীপিকার মতো তারকার কাছে যাচ্ছে। তারা কিন্তু ওটিটির কাজ করছেন না। ওটিটির কাজ করছেন বিদ্যা বালানের মতো অভিনেত্রীরা। ওদের দুটি ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রটি ছোট হওয়ায় টিভি নাটকে যারা শীর্ষে আছেন তাদের কাছেই কাজগুলো যাচ্ছে। তাছাড়া দুঃখজনক হলেও সত্য, এক সময় যারা শীর্ষে ছিলেন এবং অনেক ভালো অভিনেত্রী তাদের নিয়ে কাজ করার মতো প্রযোজক-নির্মাতা আমাদের দেশে নেই। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে একজন নায়িকার সময়কাল থাকে সর্বোচ্চ ১০ বছর!

ওটিটির কাজগুলো নিয়ে অতিরিক্ত মাতামাতিও চোখে পড়ছে। এই চর্চা টিভি নাটকের ওপর প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন না?

এই বিষয়টি নিয়ে আমি বলতে পারব না। তবে এটুকু বলতে পারি, একটি টিভি নাটকের যে বাজেট থাকে তার দ্বিগুণ বা তিনগুণ বেশি বাজেট থাকে ওটিটির কাজে। এতে অনেক সময় এবং যত্ন নিয়ে কাজগুলো করা যায়। আর বাজেট, সময় বেশি পেলে কাজটি ভালো হবে এটাই স্বাভাবিক।

অনেকেই বলে থাকেন সিনিয়রদের সঙ্গে জুনিয়রদের যোগাযোগে একটা ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে কী মন্তব্য করবেন?

দেখুন, সবাই জানে আমি অভিনয় করি। আমি তো জুনিয়রদের কাছে গিয়ে বলতে পারি না যে, আমি অভিনয় করি! তারা যদি মনে করে আমাকে প্রয়োজন তাহলে তারা স্ক্রিপ্ট নিয়ে আমার কাছে আসবে। আমার যদি কাজটি পছন্দ হয় তাহলে অবশ্যই করব।

ক্যারিয়ারের ভবিষ্যত্ পরিকল্পনা নিয়ে কী বলবেন?

আমি পেশাদার অভিনেত্রী। আমার কাজই হলো অভিনয় করা। যতদিন বেঁচে আছি পছন্দমতো গল্প-চরিত্র পেলে কাজ করে যাবো।

ইত্তেফাক/টিআর