মিঠুন চক্রবর্তী তার দুই ছেলের কারও জন্যই সোনার থালায় সব কিছু সাজিয়ে দেননি। নিজেকে পরিশ্রম করে জায়গা তৈরি করে নেওয়ার উপদেশ দিয়েছেন চিরকাল। ২০০৮ সালে ‘জিম্মি’ ছবিতে প্রথম অভিনয় মিমোর। কিন্তু বলিউডে সফল অভিনেতা হিসেবে পরিচিত নন তিনি। সেই লড়াই তার আজও চলছে।
মিমো চক্রবর্তী বিশ্বাস করেন না, তিনি স্বজনপোষণের ফসল। তার বাবা মিঠুন চক্রবর্তী তার জন্য সোনার থালায় সব কিছু সাজিয়ে দেননি। নিজেকে পরিশ্রম করে জায়গা তৈরি করে নেওয়ার উপদেশ দিয়েছেন চিরকাল। ২০০৮ সালে ‘জিম্মি’ ছবিতে প্রথম অভিনয় তার। কিন্তু বলিউডে সফল অভিনেতা হিসেবে পরিচিত নন। সেই লড়াই তার আজও চলছে। মানুষ ভাবে আমি মিঠুনের ছেলে হওয়ার যোগ্য নই।
সম্প্রতি তার স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি ‘অব মুঝে উড়না হ্যায়’ মুক্তি পেয়েছে। সেই প্রসঙ্গে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময়ে মিমোকে জিজ্ঞাসা করা হয়, মিঠুনের ছেলে বলেই বেশি সমালোচনা শুনতে হয়ে তাকে।
মিমো বলেন, ‘‘অবশ্যই তাই! বাবা একসঙ্গে কত কত কাজ করছেন। এক দিকে ‘হুনারবাজ’ রিয়্যালিটি শো-এর বিচারক, অন্যদিকে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ছবিতে অভিনয় করলেন। তাছাড়া অ্যামাজন প্রাইমের ‘বেস্টসেলার’ ওয়েব সিরিজে কাজ করছেন। চার বার জন্ম নিলে বাবার মতো পরিশ্রমী হতে পারব আমি।’’
মিমোর কথায়, এ সব কারণে বাবার সঙ্গে তুলনা করা হয়। মিমোর কথায়, ‘লোকে মনে করে, আমি মিঠুন চক্রবর্তীর ছেলে হওয়ারই যোগ্য নই। আমি যদি খারাপ অভিনেতা হই, তা হলে ঠিক আছে। কিন্তু বিচার করার আগে তো দেখে নেওয়া উচিত আমি কী পারি আর কী পারি না। কাজ দেখে বিচার করা হলে আমার কোনও বক্তব্য নেই।’ সূত্র: আনন্দবাজার।