ফুলবাড়ীতে ব্যাপকহারে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন ডায়রিয়া রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে ১৩ জন রোগী আন্তঃবিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আন্তঃবিভাগ ও বহির্বিভাগে ৪৭৭ জন ডায়রিয়া রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ১৪৩ জন, প্রাপ্তবয়স্ক নারী ১৬৪ জন এবং শিশুসহ কিশোর-কিশোরী ১৭০ জন রয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা বেশি দেখা গেছে।
উপজেলার মাদিলাহাট এলাকার পল্লি চিকিৎসক নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, প্রতিদিন গড়ে তার কাছে ১০ থেকে ১৫ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। তবে রোগীর অবস্থা জটিল হলে তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হচ্ছে। অন্যদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শাকিলুর রহমান, চিকিৎসক বন্তি আফরোজ, চিকিৎসক রেবেকা সুলতানা ও চিকিৎসক রাকিবুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ২০ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসছে। তবে যাদের অবস্থা তেমন গুরুতর নয়, তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া এবং গুরুতর রোগীদের আন্তঃবিভাগে ভর্তি করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে কমবেশি সব বয়সেরই লোকই আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে নারী ও শিশুর সংখ্যা বেশি। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব এবং খোলা জায়গায় খাওয়ার জন্য ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মশিউর রহমান বলেন, বর্তমানে আবহাওয়া পরিবর্তনসহ পরিচ্ছন্নতার অভাবসহ খোলা জায়গার খাদ্য খাওয়ার কারণে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় চিকিত্সাসহ সার্বিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে চিকিত্সকরা তত্পর রয়েছেন। এ কারণে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব বাড়লেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।