নীলফামারীর সৈয়দপুরে ১০০ শয্যা হাসপাতালে এক্সরে সেবা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে রোগীদের কয়েক গুণ টাকা খরচ করে বেসরকারি হাসপাতালে এক্সরে করতে হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালটিতে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর, রংপুরের তারাগঞ্জের রোগীরাও চিকিৎসাসেবা নিতে আসেন। রোগীদের মধ্যে প্রতিদিন গড়ে ৬০-৭০ জন এক্সরে করান। কিন্তু গত ১৬ এপ্রিল এক্সরে মেশিনের তার চুরি হয়। এরপর থেকে হাসপাতালে এক্সরে কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
একাধিক রোগী জানান, এক্সরে কক্ষটি তালাবদ্ধ রয়েছে। আমরা কক্ষের সামনে গেলে টেকনিশিয়ানরা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মোহায়মেনুল ইসলাম বলেন, মেশিনের এসির তার চুরি এবং প্রিন্টার নষ্ট হওয়ায় এক সপ্তাহ ধরে এক্সরে কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
চুরির বিষয়টি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, এই এসির তার দেশের বাজারে পাওয়া যায় না। আর এক্সরে ফিল্ম প্রিন্টার সারাতেও সময় লাগবে।
তবে সৈয়দপুর থানার ওসি আবুল হাসনাত খান বলছেন, হাসপাতালে এক্সরে মেশিনের তার চুরির ঘটিনাটি তার জানা নেই। এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনো অভিযোগ করেননি।