এক মাস সিয়াম সাধনার পর সারাদেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকত নগরী কক্সবাজার।
কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম জানান, এবার ঈদুল ফিতরের ছুটির সঙ্গে মে দিবস, সাপ্তাহিক মিলে ৯ দিনের ছুটির ফাঁদে পড়ে দেশ। আমাদের আশা ছিল- ঈদের ছুটিতে পর্যটকে টইটম্বুর হবে কক্সবাজার। কিন্তু গরমের কারণে সেভাবে মানুষ ঘর থেকে বের হয়নি। তবে, ঈদের দিন বৃষ্টি হওয়াতে পরিবেশ একটু শীতল হয়। সেই সুযোগে বিকেলে সৈকতে লোকসমাগম বেড়েছে।
কক্সবাজার সৈকতে সমুদ্রের ঢেউয়ে বিপদাপন্ন হওয়া পর্যটকদের উদ্ধারে কাজ করা সি সেইফ লাইফ গার্ডের সুপারভাইজার মোহাম্মদ ওসমান জানান, বিকেল থেকে সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে। সন্ধ্যায় উপস্থিতির সংখ্যা আরও বাড়ে। তবে, ঈদের দিন সৈকতে ঘুরে বেড়ানো দর্শনার্থীদের অধিকাংশই স্থানীয়। ৪ মে থেকে দূর-দূরান্তের পর্যটকরা কক্সবাজার আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
সুগন্ধা পয়েন্টের ব্যবসায়ী আবদুর রহিম বলেন, ঈদের দিন লোক সমাগম বাড়বে না ভেবে দোকান না খোলার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু বিকেলে লোকজন বাড়তে থাকায় দোকান খুলেছি। বেচা-বিক্রি মোটামুটি ভালোই হয়েছে। বুধবার-বৃহস্পতিবার ব্যবসা আরও বাড়বে বলে আশা করছি।
তারকা হোটেল ওশান প্যারাডাইসের পরিচালক আবদুল কাদের মিশু বলেন, ঈদের ছুটি লম্বা হলেও মূলত হোটেলে বুকিং রয়েছে ৪ মে হতে ৭ মে পর্যন্ত। আমাদের মতো অন্য সব তারকা হোটেলেও একই অবস্থা। ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে কয়েক লাখ পর্যটক পর্যটক আগমনের সম্ভাবনা রয়েছে।
কক্সবাজার হোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, স্টার হোটেল গুলো মতো গেস্ট গুলোতেও ইতোমধ্যে কক্ষ বুকিংয়ে বেশ সাড়া মিলেছে। প্রতিটি হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউসের ৬০-৭০ শতাংশ কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে।
কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম বলেন, পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া আছে। পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে হিমছড়ি, ইনানি, রামু, মহেশখালী ও আশপাশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ ও পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, প্রশাসনের সব বিভাগের সমন্বয়ে ঈদের দিন থেকে পরবর্তী সাতদিন জেলাজুড়ে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। পর্যটকদের নিরাপত্তা এবং স্বাচ্ছন্দ্যে বিচরণ নিশ্চিত করতে বিশেষ নজর রাখা হয়েছে।