শনিবার, ০৩ জুন ২০২৩, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

রেলমন্ত্রীর দুই শ্যালক বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণ করছিলেন!

আপডেট : ০৮ মে ২০২২, ১০:১৭

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের দুই শ্যালকসহ তিন জনের বিনা টিকিটে ট্রেন ভ্রমণের ঘটনায় চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) শফিকুল ইসলাম। টিটিইর বিরুদ্ধে অভিযোগ যাত্রীর সঙ্গে অশোভন আচরণের। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৫ মে খুলনা থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে ঐ তিন যাত্রীর মধ্যে দুই জন রেলমন্ত্রীর মামা শ্বশুরের দুই ছেলে এবং পাশের বাড়ির আরো এক জন ছিলেন। যারা বিনা টিকিটে এসি কেবিনে অবস্থান করছিলেন। টিটিই শফিকুল ইসলাম পাকশী বিভাগীয় রেলের সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (এসিও) নুরুল আলমের পরামর্শে এসি কেবিনের টিকিটের পরিবর্তে মোট ১ হাজার ৫০ টাকা সুলভ শ্রেণির ভাড়া নিয়ে টিকিট বানিয়ে দিলে রোষানলে পড়েন। তবে বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণ করা যাত্রীরা রেলমন্ত্রীর আত্মীয় নন বলে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী দাবি করেছেন। এ ঘটনায় রেলের সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম বাবুকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

জানা যায়, রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী শাম্মি আকতার মণির মামার বাড়ি ঈশ্বরদী শহরের নূরমহল্লা এলাকায়। ঐ ট্রেনের এসি কেবিনে রেলমন্ত্রীর স্ত্রীর মামা মরহুম আব্দুর রহমানের ছেলে ওমর (১৮) এবং আরেক মামা মরহুম জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে হাসান (১৭) এবং পাশের বাড়ির ইমরুল কায়েস প্রান্ত (২৬) বিনা টিকিটে অবস্থান করছিলেন। ওমর ও হাসান দুই জনেই ছাত্র এবং প্রান্ত ঢাকায় একটি টেক্সটাইল ফার্মে নতুন চাকরি পেয়েছেন।

এ ঘটনায় ইমরুল কায়েস প্রান্ত লিখিতভাবে টিটিই শফিকুলের বিরুদ্ধে টিকিট না দিয়ে অনৈতিকভাবে ৫০০ টাকা করে তিন জনের কাছ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা গ্রহণের অভিযোগ করেছেন। প্রান্ত আরো অভিযোগ করেন, টিটিই অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং লাথি মেরে ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ারও হুমকি দেন। কাউন্টারে টিকিট না পাওয়ায় তাড়াহুরো করে তারা এসি কেবিনে উঠে পড়েন বলে প্রান্ত দাবি করেন।

ইত্তেফাক/এসজেড