মাদারীপুর সদর উপজেলার নয়াচর এলাকায় অবস্থিত চরমুগরিয়া খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ইসলামের লাশ রবিবার (১৫ মে) উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত কামরুল ইসলাম (৪০) শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার কোদালপুর ইউনিয়নের খালাশিপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলাম খালাশীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, চরমুগরিয়া খাদ্যগুদাম কার্যালয়ের ভেতরে বাথরুমের সামনে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল ইসলামের মরদেহ ঝুলে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় অফিসের স্টাফরা। পরে পুলিশ গিয়ে সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত শেষে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পরে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেয় সদর উপজেলা প্রশাসন।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাইলাউ মারমা জানান, পারিবারিক কোন ঝামেলা কিংবা অফিস সংক্রান্ত কোন সমস্যার ছিল কিনা এসব বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিহত কামরুলের দুই স্ত্রী ছিল। প্রত্যেকের মেয়ে সন্তান রয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে কিছু আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাইন উদ্দিন জানান, ঘটনার পর প্রতিষ্ঠানটিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউ না থাকার কারণে ৬টি গুদাম সিলগালা করে দেয়া হবে। পরবর্তী কর্মকর্তা নিয়োগ না দেয়া পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
মাদারীপুর জেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো. ইসলাম হোসেন জানান, অফিসে যোগদানের পর থেকেই মানসিকভাবে চিন্তাগ্রস্ত ছিলেন কামরুল। তার মৃত্যু কি কারণে হয়েছে জোড় তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ মার্চ মাদারীপুর সদর উপজেলার চরমুগরিয়া খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম। পরে পারিবারিক ঝামেলা ও অফিসের সমস্যার কারণে চিন্তিত থাকতেন।