শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ ৬ ইউনিয়ন পানির নিচে

আপডেট : ১৬ মে ২০২২, ২১:২১

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলার ৬ ইউনিয়নের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সবকিছু পানির নিচে। সারী ও বড় নয়াগাং নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বিপৎসীমার দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

সোমবার (১৬ মে) সরেজমিনে দেখা যায়, গত কয়েক দিনের অব্যাহত বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন নিজপাট, জৈন্তাপুর, চারিকাটা, দরবস্ত, ফতেপুর ও চিকনাগুল ইউনিয়নের বেশির ভাগ মানুষ। এলাকাগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে৷ বন্যায় আটকে পড়া লোকজনকে গৃহপালিত পশু নিয়ে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিতে দেখা গেছে৷ প্রবল স্রোতে অনেক রাস্তাঘাট ভেঙে গেছে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রুমে পানি ডুকে যাওয়ায় অনেক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়।

ইতোমধ্যে বন্যার পরিস্থিতি ও আটকাপড়াদের খোঁজ-খবর নিতে এলাকা পরিদর্শন করেছেন জনপ্রতিনিধি এবং উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

পানিতে তলিয়ে গেছে বসতবাড়ি। ছবি: ইত্তেফাক

বন্যা কবলিত এলাকাগুলো হলো-জাঙ্গালহাটি, লামাপাড়া, ময়নাহাটি, নয়াবাড়ী, মেঘলী, বন্দরহাটি, তিলকৈইপাড়া, বড়খেল, মাস্তিংহাটি, মোরগাহাটি, গৌরীশংকর, ফুলবাড়ী, টিপরাখলা, ডিবির হাওর, বিরাইমারা হাওর, মজুমদারপাড়া, বাইরাখেল, গোয়াবাড়ী, হর্নি, ঘিলাতৈল, মাস্তিং, হেলিরাই, মুক্তাপুর, মোয়াখাই, বিরাইমারা, গড়েরপার, বিরাইমারা হাওর, লামনীগ্রাম, কাটাখাল, খারুবিল, চাতলারপাড়, ডুলটিরপাড়, শেওলারটুক, ববরবন্দ, ভিত্রিখেল' নয়াবস্তি, লামাবস্তি, হাটিরগ্রাম, বিড়িখাই, মল্লিফৌদ, ১নং লক্ষীপুর, ২নং লক্ষীপুর, আমবাড়ী, ঝিঙ্গাবাড়ী, কাঁঠালবাড়ী, নলজুরী হাওর, বালিদাঁড়া, রামপ্রসাদ, থুবাং, বাউরভাগ উত্তর, বাউরভাগ দক্ষিণ, বনপাড়া, থুবাং, রামপ্রসাদ, লালা, ছাতারখাই, কঞ্জর, সেনগ্রাম৷ 

উপজেলার সর্ববৃহৎ সারী নদী ও বড় নয়াগাং নদীর পানি বিপৎসীমার দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে সারী-গোয়াইন বেড়িবাঁধ প্রকল্পের কর্মকর্তা মো. আলা উদ্দিন জানান। 

পানিবন্দী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ছবি: ইত্তেফাক

তিনি বলেন, ‘গত দুদিন থেকে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃষ্টি থামলে পানি নিচের দিকে প্রবাহিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’ 

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল বশিরুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিপামনি দেবী, ইউপি চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম, ইন্তাজ আলী, সুলতান করিম ও বাহারুল আলম বাহার বন্যা প্লাবিত এলাকাগুলো সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল-বশিরুল ইসলাম এবং উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল আহমদ বলেন, ‘বন্যায় প্লাবিত এলাকাগুলোর খোঁজ-খরব রাখা হচ্ছে। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এলাকার সচেতন মহলের মাধ্যমে উপজেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে৷ইউপি চেয়ারম্যান, সদস্য ও গ্রাম পুলিশদের বন্যার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য সতর্ক রাখা হয়েছে।’  

ইত্তেফাক/এএইচ/এএএম