বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

হরিণ শিকারের অভিযোগে পূর্ব সুন্দরবনে মধু আহরণের পাস বন্ধ  

আপডেট : ১৭ মে ২০২২, ১৬:২৮

পূর্ব সুন্দরবনে এবার মধুর আহরণ মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে এসে বনবিভাগ মধু আহরণের পাস দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। মৌয়ালরা মধুর পাস নিয়ে বনে হরিণ শিকার করে এমন অভিযোগে বনবিভাগ মধু আহরণ বন্ধ করেছে।

শরণখোলার উত্তর সাউথখালী গ্রামের মৌয়াল বাদশা শেখ, বগী গ্রামের মাহবুব হাওলাদার, চালিতাবুনিয়া গ্রামের মৌয়ালী মোতালেব হাওলাদারসহ অন্য কয়েকজন মৌয়ালী জানান, গত ১ এপ্রিল বনবিভাগ সুন্দরবনে মধু সংগ্রহের অনুমতি (পাস) দেয়। এবছর সুন্দরবনে মধুর সংকট দেখা দিয়েছে। এপ্রিল মাস জুড়ে মৌয়ালরা অল্প পরিমাণে মধু পেয়েছে। তারপরও পাস পেলে মৌসুমের পুরোটা সময় বনে বনে ঘুরে আরো কিছু মধু সংগ্রহ করা যেতো। কিন্তু বনবিভাগ হঠাৎ করে গত ২৯ এপ্রিল থেকে মধুর পাস দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে মৌয়ালদের লোকসানের বোঝা আরো বেড়েছে বলে ঐ মৌয়ালরা জানান। ৩০ মে পর্যন্ত সুন্দরবনে মধু আহরণের মৌসুম বলে জানা গেছে। 

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মৌসুম শেষের আগেই মধুর পাস দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে। এবছর এ পর্যন্ত শরণখোলা রেঞ্জে ৪৬৩ কুইন্টাল মধু ও ১৩৯ কুইন্টাল মোম আহরিত হয়েছে এবং এ থেকে বনবিভাগ ১২ লাখ ৪ হাজার ৬৩৬ টাকা রাজস্ব আয় করেছে। এবছর সুন্দরবনে মৌমাছি আগের মত বাসা বাঁধেনি তাই মৌয়ালরা মধু কম পেয়েছে বলে ঐ স্টেশন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ( ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন ইত্তেফাককে বলেন, এবছর সুন্দরবনে মধু কম পাওয়া যাচ্ছে। মৌয়ালরা মধুর পাশ নিয়ে হরিণ শিকারে লিপ্ত হচ্ছে। সম্প্রতি চাদঁপাই রেঞ্জ এলাকা থেকে হরিণধরা ফাঁদ সহ ৮ জন মৌয়ালকে আটক করা হয়। মৌয়ালরা যাতে হরিণ শিকার করতে না পারে সে লক্ষ্যে সুন্দরবনে মধু আহরণের পাশ ইস্যু না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে ডিএফও জানিয়েছেন।

 

ইত্তেফাক/এআই