ঊর্ধ্বমুখী বিশ্ববাজার পরিস্হিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রেখে দেশীয় বাজার সম্পর্কে করণীয় নির্ধারণ করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, কোনো মানুষ যেন অকারণে পণ্যসংকটে পড়ে কষ্ট না পায় সেদিকে নজর রাখতে হবে। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনাকালে বাণিজ্যসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে তিনি এই নির্দেশনা দেন।
সূত্র জানায়, ডলারের দাম বাড়ার বিষয়ে কী করা যায়, সেটা নিয়েও কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দ্রব্যের দাম কেন বেড়ে যাচ্ছে, সে ক্ষেত্রে কী করতে হবে, কীভাবে দাম সাধ্যের মধ্যে রাখা যায়—সেসব বিষয় নিয়ে পুরোপুরি একটা সারসংক্ষেপ করে তার কাছে পাঠানোর জন্য বাণিজ্য ও অর্থমন্ত্রীকে নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। সম্ভাব্য করণীয় বিষয় নিয়েও কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
আগামী তিন দিনের মধ্যে এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রধানমন্ত্রীকে জানাতে দুই মন্ত্রীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ভোগ্যপণ্যের দামের সার্বিক বিষয় নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংককে একটা পরিকল্পনা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিলাসবহুল পণ্য আমদানি না করার বিষয়ে পরিকল্পনা করারও নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশের ভ্যাকসিন কার্যক্রমের জন্য বিশ্ব স্বাস্হ্য সংস্হা প্রশংসা করেছে। আগামী বছরে স্বাস্হ্য খাতে ব্যয়ের জন্য বাংলাদেশকে ৯৪০ মিলিয়ন ডলার দেবে বিশ্ব স্বাস্হ্য সংস্হা বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
পদ্মা সেতুর নাম পরিবর্তন হবে না
জুন মাসের শেষের দিকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হবে। প্রধানমন্ত্রী গতকাল মন্ত্রিসভায় এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে এর নাম পদ্মা সেতুই থাকবে, এটা প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন। এ বিষয় নিয়ে আগামী সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী কথা বলবেন। পদ্মা সেতুর টোল প্রসঙ্গে বলা হয় টোল বেশি হলে সরকার পরে সেটা বিবেচনা করবে।
পরে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে রয়েছে, ‘হাট ও বাজার (স্হাপন ও ব্যবস্হাপনা) আইন, ২০২২’-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন, ‘ভূমি উন্নয়ন কর আইন, ২০২২’-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন, ‘ভূমি সংস্কার আইন, ২০২২’-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন, ‘জাতীয় মানসিক স্বাস্হ্য নীতি, বাংলাদেশ-২০২২’-এর খসড়া অনুমোদন, গত ৭ হতে ১২ মার্চ-২০২২ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিতকরণ এবং গত ২৬ ফেব্র‚য়ারি হতে ১ মার্চ-২০২২ মেয়াদে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল কর্তৃক কমিশন ওয়ান দ্য লিমিটস অব দ্য কন্টিনেন্টাল সেল্ফ (সিএলসিএস)-এর ৫৪তম অধিবেশনে বাংলাদেশ কর্তৃক মহীসোপানের অ্যামেন্ডমেন্ট সাবমিশন উপস্হাপন সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিতকরণ।
ভূমি সচিব মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ভূমি উন্নয়ন কর আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এর ফলে ২৫ বিঘা পর্যন্ত যাদের জমি আছে তাদের কর না দেওয়ার বিধান বহাল রয়েছে। এর বেশি হলেই পুরো জমির কর দিতে হবে বলে আইনের খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে। খেলার মাঠ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে করমুক্ত রাখা হয়েছে। তবে খাজনা দেওয়া তিন বছর বাকি থাকে তাহলে প্রতি বছরের করের সঙ্গে ৬.২ শতাংশ বেশি দিতে হবে।