গত সপ্তাহের বুধবার থেকে প্রতি ভরি স্বর্ণালঙ্কারে এক হাজার ৭৫০ টাকা বেড়েছিল। আর আগামীকাল রবিবার থেকে সবচেয়ে ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ৪ হাজার ১৯৯ টাকা করে বাড়ছে।
এতে একজন গ্রাহককে এক ভরি স্বর্ণের অলঙ্কার কিনতে ৮২ হাজার ৪৬৪ টাকা টাকা ব্যয় করতে হবে। এটাই দেশের ইতিহাসে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম। শনিবার পর্যন্ত যা ছিল ৭৮ হাজার ২৬৫ টাকা।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) জানিয়েছে, যুদ্ধ ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং মুদ্রা বাজারে মার্কিন ডলার ও অন্যান্য মুদ্রার দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক বাজার স্থানীয় বুলিয়ন মার্কেটে স্বর্ণের বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বাজারেও দাম বাড়ানো হয়েছে।
ভালো মানের স্বর্ণের পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে সব ধরনের স্বর্ণের দাম। তবে রুপার দামে কোনো পরিবর্তন আসেনি। বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি শনিবার বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তীতে মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এনামুল হক ভূঁইয়া লিটনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে দাম বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
নতুন মূল্য অনুযায়ী, সবচেয়ে ভাল মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম চার হাজার ১৯৯ টাকা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৮২ হাজার ৪৬৪ টাকায়। চার হাজার ২৪ টাকা বাড়িয়ে ২১ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ৭৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম বেড়েছে তিন হাজার ৪৯৯ টাকা। যা এখন বিক্রি হবে ৬৭ হাজার ৫৩৫ টাকা। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরির দাম দুই হাজার ৮৫৮ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৬ হাজার ২২০ টাকা।
শনিবার পর্যন্ত প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট সোনা ৭৮ হাজার ২৬৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের ৭৪ হাজার ৭০৮ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৬৪ হাজার ৩৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৫৩ হাজার ৩৬৩ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
স্বর্ণের দাম বাড়লেও রুপার দামে পরিবর্তন হয়নি। ২২ ক্যাডমিয়াম (হলমার্ককৃত) প্রতি ভরি রুপার বাজারমূল্য এক হাজার ৫১৬ টাকা, ২১ ক্যাডমিয়ামের (হলমার্ককৃত) এক হাজার ৪৩৫ টাকা, ১৮ ক্যাডমিয়ামের (হলমার্ককৃত) এক হাজার ২২৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপার দাম ৯৩৩ টাকা। এর আগে স্থানীয় বুলিয়ান মার্কেটে দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৬ এপ্রিল থেকে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমেছিল।