ভারতের বেঙ্গালুরুতে নির্যাতনের শিকার সেই তরুণীকে বাংলাদেশের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার বিপ্লব কুমার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ভুক্তভোগী তরুণীর সঙ্গে মানবপাচারের শিকার আরও তিন তরুণী ফেরত এসেছেন। তাদের ঢাকায় আনা হচ্ছে। রাজধানীতে তেজগাঁওয়ের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে তাদের রাখা হবে।
২০২১ সালে বেঙ্গালুরুতে বাংলাদেশি ওই তরুণীক বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও দুই দেশেই ‘ভাইরাল’ হয়েছিল। এরপর উভয় দেশের পুলিশের তৎপরতায় নির্যাতনকারী ও মানবপাচার চক্রের অনেকেই গ্রেফতার হন।
এ ঘটনায় শুক্রবার অভিযুক্ত টিকটক হৃদয় বাবুসহ ১১ বাংলাদেশির সাজা হয়েছে। তাদের মধ্যে সাত জনকে যাবজ্জীবন এবং বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়ে বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালত এ রায় দেন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন-চাঁদ মিয়া, মোহাম্মদ রিফাকদুল ইসলাম (হৃদয় বাবু), মোহাম্মদ আলামিন হোসেন, রকিবুল ইসলাম, মোহাম্মদ বাবু শেখ, মোহাম্মদ ডালিম ও আজিম হোসেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি মোহাম্মদ রিফাদুল ইসলাম ওরফে হৃদয় বাবু ওরফে টিকটক হৃদয়ের বিরুদ্ধে ওই তরুণীকে পাচার করার অভিযোগ উঠেছিল। ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা রিফাদকে আসামি করে ঢাকার হাতিরঝিল থানায় একটি মামলাও করেছিলেন।