যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে ইউক্রেন। দেশটির প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা জানিয়েছেন, ভূখন্ড ছাড়ের বিনিময়ে মস্কোর সঙ্গে কোনো ধরনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি করবে না কিয়েভ।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়া তার দেশের ২২ মিলিয়ন টন খাদ্যশস্য রপ্তানি আটকে দিয়েছে। এদিকে, মারিউপোল থেকে উদ্ধার হওয়া ইউক্রেন সৈন্যদের নিজেদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় নিয়ে গেছে রাশিয়া। তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। অন্যদিকে, ইউক্রেনের পার্লামেন্টে মার্শাল ল আরো তিন মাসের জন্য বাড়ানোর বিলে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
যুদ্ধবিরতিতে যাবে না ইউক্রেন
ইউক্রেনের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ শহর মারিউপোল, ডনবাসের লুহানস্ক ও ডোনেস্কে ব্যাপক বোমা হামলা অব্যাহত রেখেছে রুশ বাহিনী। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মারিউপোলের আজভস্তালে ইউক্রেনীয় যোদ্ধাদের আত্মসমর্পণের পর রাশিয়াকে এখন দনবাসের দু’টি প্রদেশের একটি লুহানস্কে অভিযানের তীব্রতা বাড়াতে দেখা গেছে।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দনবাস অঞ্চলে রুশ বাহিনীর আক্রমণের ধার বাড়ার পরও যুদ্ধবিরতি বা মস্কোকে ছাড় দেওয়ার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে কিয়েভ।
ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযানে’ নামার আগেই লুহানস্ক ও প্রতিবেশী দোনেত্স্কের বিশাল অংশ রুশ সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দখলে ছিল; রাশিয়া এখন ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে থাকা বাকি অংশটুকুও কব্জা করতে চায়।
প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, ডনবাসের পরিস্হিতি খুবই জটিল। রুশ সেনাবাহিনী সিভেরদোনেত্স্কে আক্রমণের চেষ্টা চালিয়েছে, কিন্তু ইউক্রেনের বাহিনী তাদের অগ্রযাত্রা আটকে রেখেছে।
এদিকে, জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াক কোনো ধরনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে হয়, মস্কোর সঙ্গে এমন চুক্তি মানবে না কিয়েভ। বার্তা সংস্হা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, রাশিয়াকে ছাড় দিলেও তারা হামলা থামাবে না। হয়তো কিছু সময়ের জন্য বিরতি দেবে। নতুন করে হামলা শুরু করবে। ইউক্রেনের এই মতামত নিয়ে রাশিয়া কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।