বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

আফগানিস্তানের করুণ দশা

আপডেট : ২৩ মে ২০২২, ২৩:২৮

তালেবান ক্ষমতা দখলের পর আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এছাড়া নারী ও মেয়েদের অনেক অধিকার কেড়ে নেয়া হচ্ছে।

অর্ধেকের বেশি মানুষ ক্ষুধা কষ্টে

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ডাব্লিউএফপি বলছে আফগানিস্তানের প্রায় দুই কোটি ২৮ লাখ মানুষ মারাত্মক ক্ষুধা কষ্টে আছেন। তারা খাদ্য সহায়তার উপর নির্ভরশীল। দেশটির মোট জনসংখ্যা প্রায় চার কোটি। ছবিতে কাবুলে দুই ব্যক্তিকে চীনের খাদ্য সহায়তা নিয়ে ফিরতে দেখা যাচ্ছে। ডাব্লিউএফপি বলছে আফগানিস্তানে তাদের কার্যক্রম চালাতে প্রতিমাসে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ এক কোটি টাকা দিচ্ছে

জাতিসংঘের মাধ্যমে আফগানিস্তানে এক কোটি টাকা অনুদান পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। রোববার (২২ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ‘ফর দ্য কো-অর্ডানেশন অব হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্স’ তহবিলে এ টাকা জমা দেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মেয়েদের অধিকার খর্ব 

তালেবান বলেছিল এবার তারা আগের চেয়ে একটু বেশি সহনীয় হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে নারীদের অনেক অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। তারা মাধ্যমিক স্কুলে যেতে পারছে না, একা চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। প্রকাশ্যে পা থেকে মুখ পর্যন্ত ঢাকা পোশাক পরতে বলা হয়েছে। এসব নির্দেশ মানা হচ্ছে কিনা তা দেখতে চেকপয়েন্ট বসানো হয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি নারী সাংবাদিক ও উপস্থাপকদের মুখ ঢেকে টিভিতে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

প্রতিবাদ

কাবুলের মতো আফগানিস্তানের অধিকতর উদার এলাকার কিছু নারীকে নতুন নিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে দেখা গেছে। বিক্ষোভে অংশ নেয়া একজন বলেন, ‘‘আমরা জীবিত প্রাণী হিসেবে পরিচিত হতে চাই, মানুষ হিসেবে পরিচিত হতে চাই, ঘরের কোণে বন্দি দাস হিসেবে পরিচিত হতে চাই না।’’

বোরকার দাম বেড়েছে

কাবুলের এক বোরকা বিক্রেতা জানান, পোশাক নিয়ে তালেবানের নতুন নির্দেশের পর বোরকার দাম প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়ে গেছে।

নারী ও পুরুষ একসঙ্গে রেস্টুরেন্টে যেতে মানা

আফগানিস্তানের মানদণ্ড বিবেচনায় হেরাত শহরকে কিছুটা উদার মনে করা হয়। কিন্তু সেখানে রেস্টুরেন্টে বসে পুরুষ আর নারীরা একসঙ্গে খেতে পারবেন না বলে নির্দেশ জারি করা হয়েছে। হেরাতের এক রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থাপক শফিউল্লাহ এই নির্দেশ জারির কথা নিশ্চিত করে বলেছেন, এর ফলে তাদের ব্যবসার অনেক ক্ষতি হচ্ছে। 

প্রতিক্রিয়া
নারী ও মেয়েদের উপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা জারির সমালোচনা করেছেন জি-সেভেন দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। এসব নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে বলে জানান তারা।

ইত্তেফাক/এসআর