রাজধানীর বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় আদালতে ব্যক্তিগত হাজিরা দেওয়া থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন ঢাকাই চিত্রনায়িকা পরীমণি। বৃহস্পতিবার (২ জুন) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক নজরুল ইসলামের আদালত পরীমণির দেওয়া অবেদন মঞ্জুর করে তাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন।
গত ১২ মে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন। সেই আবেদন মঞ্জুর করে বিচারক এই আদেশ দেন। পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
গত ১ মার্চ একই আদালতে মামলার বাদী র্যাব-১ এর কর্মকর্তা মজিবর রহমান জবানবন্দি দেন। তবে, ওইদিন তার জেরা শেষ হয়নি। আজ তাকে জেরা শেষ করেন। আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৯ জুলাই দিন ধার্য করেন।
গত ৫ জানুয়ারি পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার অপর দুই আসামি হলেন, পরীমণির ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম দিপু ও পরীমণির বড় খালু কবীর হোসেন হাওলাদার। আসামিরা সবাই জামিনে রয়েছেন।
গত বছর ৪ অক্টোবর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল। গত ১২ অক্টোবর মামলাটি ঢাকার সিএমএম আদালত থেকে মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়। এরপর ১৫ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজের বিচারক পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দেওয়া চার্জশিট আমলে গ্রহণ করেন।
২০২১ সালের ৪ আগস্ট বিকেল ৪টার পর পরই বনানীর ১২ নম্বর রোডের পরীমণির বাসায় অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। এ সময় ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। এরপর ৫ আগস্ট চার দিন এবং ১০ আগস্ট দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ১৩ আগস্ট রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর আবারও ১৯ আগস্ট একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ওই বছর ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ পরীমণির জামিন মঞ্জুর করেন। পরের দিন তিনি কারামুক্ত হন।