বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

আবরার হত্যা: আসামি মাজেদের ফাঁসি বাতিল প্রশ্নে রুল

আপডেট : ০৬ জুন ২০২২, ১৯:০৬

বুয়েটের আবরার হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মাজেদুর রহমান ওরফে মাজেদের দণ্ড কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। সম্প্রতি সাজা বাতিল চেয়ে আসামির করা আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি এ.এস.এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় গত বছরের ৮ ডিসেম্বর ২০ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান। ওই রায়ে আরও পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন দণ্ড দেওয়া হয়। দণ্ডিত ২০ ফাঁসির আসামির মধ্যে মাজেদ অন্যতম। ২০১৯ সালের ১৮ অক্টোবর মাজেদকে রিমাণ্ড শেষে কারাগারে পাঠান ঢাকার ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। পরে ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে আসামি মাজেদ জেল আপিল করেন বলে জানান তার আইনজীবী একে খান উজ্জ্বল। আপিলের পরও তিনি মৃত্যুদণ্ডের সাজা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৬১ক ধারায় করা হয় আবেদন। 

এই প্রসঙ্গে তার আইনজীবী উজ্জ্বল জানান, ট্রাইব্যুনালের রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি পাওয়ার জন্য ওইদিনই আবেদন করতে হয়। কিন্তু বিচারিক আদালতে তার পক্ষে নিয়োজিত আইনজীবী রায় ঘোষণার ১২ দিন পর সত্যায়িত অনুলিপি পেতে আবেদন করেন। এরপর সেদিন রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি ইস্যু করলেও তা রিসিভ করা হয়নি। এ কারণে ৩০ দিনের মধ্যে আসামি মাজেদ হাইকোর্টে নিয়মিত আপিল করতে ব্যর্থ হন। এরপরই সাজা বাতিল চেয়ে এই আবেদন করা হয়েছে।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী ইত্তেফাককে বলেন, ‘আসামির সাজা বাতিলের প্রশ্নে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। জারিকৃত এই রুল এই হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের সঙ্গে একসঙ্গে শুনানি হবে।’

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় পরের দিন চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ। হত্যাকাণ্ডের পরই ডিবি পুলিশ দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করে। পরে তদন্ত শেষে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। 

এদিকে, আটজন আসামি আদালতে দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। সাক্ষ্যগ্রহণ, জেরা, সাফাই সাক্ষী, আত্মপক্ষ সমর্থন, যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে হত্যাকাণ্ডের দুই বছরের মধ্যে মামলাটির প্রথম ধাপের বিচার সম্পন্ন হয় ট্রাইব্যুনালে। এখন পেপারবুক প্রস্তুত সাপেক্ষে হাইকোর্টে এই মামলার বিচার অনুষ্ঠিত হবে।

ইত্তেফাক/মাহি