চিতলমারীতে অবাধে ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলনের মাধ্যমে নিচু জমি ভরাট করে বিভিন্ন ভবন ও স্থাপনা তৈরি করায় দিন দিন কমে আসছে ফসলি জমি। এতে ফসল উৎপাদনে ব্যাপক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন এলাকার সচেতন মহল।
উপজেলার শ্যামপাড়া গ্রামের বাসিন্দা প্রান্তিক চাষি পরিবারের সদস্য বাবলু মণ্ডল জানান, খাদ্যশস্য উৎপাদনে এ উপজেলার ব্যাপক অর্জন রয়েছে। চিংড়ি চাষের পাশাপাশি এখানে ধান, পাট, আখ ও সবজি চাষে সফল হয়েছেন চাষিরা। কিন্তু ভূমির পরিমাণ যদি কমে আসে তাহলে ফসল উৎপাদনে সংকট সৃষ্টি হবে। এ পরিস্থিতিতে যদি ফসলি জমি রক্ষা না পায় তাহলে আমাদের করুণ পরিণতি ভোগ করতে হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার অসীম কুমার দাস জানান, কৃষিজমি রক্ষা করা এখন খুবই জরুরি। না হলে এলাকার খাদ্য চাহিদায় ঘাটতি পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে বলেও জানান তিনি।
উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) জান্নাতুল আফরোজ স্বর্ণা জানান, কৃষিজমি সুরক্ষার ব্যাপারে তাদের কাছে কোন নির্দেশনা নেই। তবে পরিকল্পিতভাবে জমিতে ভবন নির্মাণ ও নিজেদের সচেতনতার মাধ্যমে জমির সঠিক ব্যবহার করা হলে এ সমস্যা অনেকটা নিরসন করা যেতে পারে।