বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

দর্শকরা যদি গ্রহণ না করেন, তবে ঘরে বসে যাবো 

আপডেট : ০৯ জুন ২০২২, ০৮:০০

এরইমধ্যে ক্যারিয়ারের ঝুলিতে বেশ কয়েকটি সিনেমা জমা করেছেন অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ। চলতি মাসে মুক্তি পাচ্ছে তার নতুন একটি সিনেমা। এই সিনেমার পাশাপাশি নিজের অভিনয় পরিকল্পনা নিয়ে তিনি কথা বললেন ইত্তেফাকের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এ এম রুবেল। 

আপনার ‘অমানুষ’ সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে। এর প্রক্ষাপট ও আপনার চরিত্র নিয়ে জানতে চাই।

জঙ্গলে বাস করা একদল ডাকাতের গল্পে সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে। বলতে পারেন, ‘অমানুষ’ জঙ্গল, ডাকাত ও প্রেমের গল্প। এতে আমি দিশা নামের একজন মেয়ে ডাকাতের চরিত্রে অভিনয় করেছি। যে প্রচণ্ড রাগি একটা মেয়ে। তবে মনটা খুবই নরম। সে খুন করতেও দ্বিধা করে না, আবার প্রেমের জন্যও দিওয়ানা থাকে।

এ ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে কতটা প্রতিকূলতার মুখোমুখী হতে হয়েছে?

এই চরিত্রটি রূপায়ণ করা সত্যি অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। কারণ, আমরা সচরাচর এ ধরনের চরিত্র চোখে দেখি না। বিশেষ করে মেয়ে ডাকাত তো আমরা বই-পুস্তক ছাড়া কোথাও দেখি না। তাই একজন মেয়ে ডাকাতের আচার-আচরণ কেমন হয় তা আমরা সেভাবে জানি না। তবু আমাদের টিমের সবার ভাবনা এবং চেষ্টা ছিল দিশাকে ভিন্নভাবে উপস্হাপন করার। বাকিটা দর্শকরা বলবেন।

সিনেমাহলের দর্শক দিন দিন কমছে। সেই জায়গায় ‘অমানুষ’ দর্শকদের হলমুখী করতে পারবে মনে করছেন?

সিনেমাটিতে প্রত্যেক শিল্পীর লুকই কিন্তু সবাইকে চমকে দেওয়ার মতো। সবাই নিজের লুক এবং অভিনয়ের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেননি। তা-ছাড়া প্রায় সবাই এ ধরনের চরিত্রে আগে কাজ করেননি। তাই গহীন জঙ্গলে ডাকাতদের জীবন কেমন হয়, তারা প্রেমে পড়লে কী হয় এমন নানা কৌতুহলের অবসান ঘটাবে সিনেমাটি। সেই জায়গা থেকে যারা অভিনয় দেখতে চান, তারা সিনেমাটি দেখতে হলে আসবেন এই বিশ্বাস আমার আছে।

এর বাইরে অন্যান্য কোন কাজগুলো নিয়ে ব্যস্ত আছেন?

সরকারি অনুদানের ‘ছায়াবৃক্ষ’ সিনেমাটির কাজ শেষ করলাম। পাশাপাশি নতুন আরও একটি সিনেমার কাজ শেষ করেছি। কিন্তু এখনই সিনেমাটি নিয়ে বিস্তারিত বলতে চাচ্ছি না। এ ছাড়া, ওটিটির দুটি কাজ সম্প্রতি শেষ করেছি| নতুন কয়েকটি কাজের কথাও চলছে।

প্রতিটি সিনেমায় নিজেকে ভাঙছেন। এই চর্চাকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে হচ্ছে না?

আমি মূলত নিজের সঙ্গে এক্সপেরিমেন্ট করছি। দেখতে চাচ্ছি দর্শকরা আমাকে গ্রহণ করেন কি-না। তারা যদি গ্রহণ না করেন তবে ঘরে বসে যাবো। কারণ আমি দর্শকদের ঠকাতে চাই না। আমাকে গ্লামারাস নায়িকা হতে হবে এই ভাবনা নেই। তাই কমার্শিয়াল ছবিতে অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছি। আমার বিশ্বাস, দর্শকরা অভিনেত্রী নওশাবাকে গ্রহণ করবেন।

ইদানিং গল্পনির্ভর কাজ বেশি হচ্ছে। এতে হিরো-হিরোইন নির্ভরতা কমার পাশাপাশি আপনাদের কাজের ক্ষেত্র প্রসারিত হচ্ছে কি-না?

হ্যাঁ, অবশ্যই কাজের পরিধি বাড়ছে। না হলে তো দেশের নাটকে যে চরিত্র সংকট শুরু হয়েছিল সেখানে আমাদের ঘরে বসে দেখা ছাড়া কোনো কাজ ছিল না। কিন্তু ওটিটি আসা এবং গল্পকে প্রধান্য দিয়ে নির্মাণ বাড়ায় সবারই কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছে।

এরইমধ্যে একটি ওয়েব সিরিজেও যাত্রা শুরু করেছেন। নতুন সিরিজে কবে দেখা যাবে?

ভালো গল্প এবং চরিত্রের অপেক্ষায় আছি। সবকিছু মিলে গেলে শিগগিরই হয়তো নতুন ওয়েব সিরিজে দেখা যাবে। আমি আসলে নামমাত্র কাজ করতে চাই না। তা-ছাড়া আমার যেহেতু ব্যাকআপ নেই, সেহেতু একটি কাজ দিয়ে অন্য একটি কাজ পেতে হয়। তাই যেন তেন কাজ করতে চাই না।

ইদানিং নাটকে কম দেখা যাচ্ছে। মাধ্যমটি থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন কি-না?

নাটকের কাজের প্রস্তাব পাচ্ছি না, তা না। কিন্তু যে ধরনের কাজ করতে চাই সে ধরনের কাজ পাচ্ছি না। মনের মতো কাজ পেলে করবো, না হলে ওয়েব সিরিজ ও সিনেমাতেই ব্যস্ত থাকার ইচ্ছে আছে। কারণ এই মাধ্যমগুলো আমাকে ব্যবহার করতে জানে।

ইত্তেফাক/মাহি

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন