বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩, ১৫ চৈত্র ১৪২৯
দৈনিক ইত্তেফাক

‘তরুণরা এখন স্মার্টফোনেই সিনেমা বানাতে পারছে, এটা এক্সাইটিং’

আপডেট : ০৯ জুন ২০২২, ০৬:২০

হাওয়া ঘর (নাটক), আয়নাবাজি, মুন্সিগিরি, রিক্সাগার্ল (ফিচার ফিল্ম), একটি ফোন করা যাবে (নাটক)- বাংলা বিনোদন অঙ্গনে দাগ কেটে গেছে এই নাটক ও সিনেমাগুলো। গতানুগতিক ধারা থেকে ভিন্ন এসব নির্মাণের কারিগর অমিতাভ রেজা চৌধুরী। সর্বশেষ ‘মুন্সিগিরি’ সিনেমা দিয়ে ঝড় তুলেছিলেন সারাদেশে। ‘আয়নাবাজি’ সিনেমা নিয়ে হাজির হয়েছিলেন কান ফেস্টিভ্যালে।

প্রখ্যাত এই নির্মাতা ‘ঢাকা মেট্রো’, ‘বন্ধন’র মতো টিভি ও ওয়েব সিরিজ তৈরি করেছেন। সম্প্রতি অমিতাভ রেজা চৌধুরীকে স্যোশাল মিডিয়ায় বহুজাতিক স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভো’র একটি ক্যাম্পেইনে কথা বলতে দেখা গেছে। সেখানে এক্স৮০ ফাইভজি নামে একটি স্মার্টফোন নিয়ে কথা বলেন তিনি।

ফিল্মমেকিং নিয়ে অমিতাভ বলেন, ‘একজন ফিল্মমেকার কখনো সত্যকে ধরতে পারে না। কিন্তু সত্যের অনুসন্ধান করতে পারে। আর এভাবে সত্যের অনুসন্ধান করতে করতেই আমার চলচ্চিত্রে আসা। আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়, আমার সবচেয়ে বড় শিক্ষক এখন নতুন জেনারেশন। তাদের আমি শুধু একটা কথাই বলতে চাই, আপনার ঘরেই, আপনার পাশেই একটি গল্প আছে।’

প্রযুক্তির ব্যবহার করে কনটেন্ট নির্মাণ এখন আরও অনেক সহজ হয়ে গেছে বলে মনে করেন এই নির্মাতা। শর্টফিল্মের মতো কনটেন্ট নির্মাণে তরুণদের স্মার্টফোনের ব্যবহার করতে উৎসাহিত করেন অমিতাভ।

অমিতাভ রেজা বলেন, ‘আমার কাছে ফোন এখন শুধু এসেনশিয়াল মিনস অব হিউম্যান কমিউনিকেশন না। ফোনের মাধ্যমে আমি আমার গল্প বলি। ফোনের মাধ্যমে আমার চোখ তৈরি হয়। আর এই চোখের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে লেন্স। আমার কাছে এজন্যই সবচেয়ে এক্সাইটিং পার্ট হচ্ছে কার্ল জেইস আর ভিভো’র কোলাবোরেশন। কার্ল জেইস ও ভিভো কোলাবোরেট করে যেই প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে, যেই ফোন আমাদের হাতে দিয়েছে, সেই ফোনে আপনি ইচ্ছা করলেই ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডের গল্প, শর্ট ফিল্ম বানাতে পারেন। এবং সারা পৃথিবীর যেকোনো ফেস্টিভ্যালে আপনি হাজির হতে পারেন আপনার গল্প নিয়ে।’

অমিতাভ আরও বলেন, ‘এরচেয়ে এক্সাইটিং, এরচেয়ে শক্তিশালী আর কী ঘটনা ঘটতে পারে, যার মাধ্যমে শুধুমাত্র একটি ডিভাইস ব্যবহার করে আপনি সারাবিশ্বের সামনে নিজের অস্তিত্ব হাজির করবেন। এভাবে প্রযুক্তির ব্যবহার করেই নতুন জেনারেশন গল্প বলবে এদেশের মানুষের, এ মাটির।’

ইত্তেফাক/মাহি