প্রস্তাবিত চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণে জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রায় ১৯৪ কোটি টাকার প্রাক্কলনের বৈধতার প্রশ্নে জারিকৃত পৃথক দুটি রুল খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে অন্তঃসারশূন্য রিট এবং সৃজনকৃত নথি দাখিল করে কোর্টের মূল্যবান সময় নষ্ট ও প্রতারণার দায়ে চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. সেলিম খানসহ তিন রিটকারীকে ১ কোটি টাকা জরিমানা করেছে আদালত। রায় প্রাপ্তির দুই মাসের মধ্যে সরকারি কোষাগারে এই অর্থ জমা দিতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ জুন) এই রায় দেন। রায়ে তিন রিটকারীর মধ্যে সেলিম খানকে ৫০ লাখ, স্থানীয় বাসিন্দা জুয়েল ও আব্দুল কাদের মিয়াকে ২৫ লাখ করে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে হাইকোর্ট। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাইনুল হাসান এবং রিটকারীর পক্ষে মনিরুজ্জামান আসাদ শুনানি করেন।
চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণের জন্য প্রশাসনিক অনুমোদন দেওয়া হয় গত বছরের ৬ এপ্রিল। ঐ বছরের ৪ নভেম্বর চাঁদপুর জেলা প্রশাসন প্রস্তাবিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণের জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রায় ১৯৪ কোটি টাকার প্রাক্কলন প্রস্তুত করে অর্থ ছাড়ের জন্য উপাচার্য বরাবর চিঠি দেয়। একই বছরের ১৪ অক্টোবর জমির মূল্যহার পরীক্ষা ও সংগ্রহের জন্য ১৩ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করে জেলা প্রশাসন।