সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৯ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

‘ডাক্তার আছে মেশিন নাই, মেশিন আছে ডাক্তার নাই’ 

আপডেট : ১০ জুন ২০২২, ১১:৪৭

হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে মেশিন আছে এক্সপার্ট নাই  আবার কোনো কোনো পরীক্ষার ডাক্তার আছে কিন্তু মেশিন নাই। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডাক্তাররা বলছেন, নাক-কান-গলার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আছে, তবে ওই বিষয়ের আরও মেশিন দরকার। 

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বর্তমান চোখের কনসালটেন্ট নাই। ৩/৪ বছর আগে যখন ছিল, তখন চোখ পরীক্ষার প্রধান মেশিন ছিল টর্চ লাইট, সার্জারি বিশেষজ্ঞ ছিল না।অবশ করার মেশিনও অকেজো। তাই অবশের মাধ্যমে এবং রক্ত সংশ্লিষ্ঠ যেসব চিকিৎসা, তা এখানে সম্ভব নয়।

দেখা যায়, এক্স-রে (x-ray) মেশিন আছে, জিন এক্সপার্ট মেশিন আছে, যা শুধু যক্ষ্মা রোগীদের জন্যই প্রযোজ্য। ইসিজি করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেই। এক্সপার্টের অভাবে দীর্ঘ ১০/১২ বছর যাবত অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকায় আল্ট্রাসনোগ্রাফি মেশিনটিও সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে পড়ে আছে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুরজিৎ দত্ত বলেন, ‘কয়েকজন বিশেষ ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি সিটে অক্সিজেন সংযোগ রাখা হয়েছে। জরুরি ক্ষেত্রে রোগীকে অক্সিজেন দেওয়ার জন্যই এ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।’  

স্বাস্থ্য কেন্দ্র জানায়, এ যাবত ৪টি অ্যাম্বুলেন্স সরকার থেকে দেওয়া হয়েছে। তারমধ্যে একটি ২৫/২৬ বছর আগেই নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে। এভাবে আরও দুটিও নষ্ট হয়ে পড়ে আছে।

 ডা. সুরজিৎ দত্ত বলেন, ‘গত ২৪ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহিদুল আলম, উপজেলা ভাইস চেয়াম্যান নুরুল আলম বাসেক, হাটহাজারী মডেল থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম, হাটহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. সুরজিত দত্তসহ আরও অনেকের উপস্থিতিতে একটি অ্যাম্বুলেন্সের চাবি প্রদান করেন ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি কিন্তু দুর্ভাগ্য যে চালক নাই। দীর্ঘ দিন ড্রাইভারের পদটিও শূন্য রয়েছে।’ 

কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এমএলএসএস পদ সংখ্যা ৯টি, তার ৬টি পদই শূন্য। ফার্মাসিস্ট পদ ৭টি, তারও ৬টি পদই শূন্য রয়েছে।’  তা-ছাড়া প্রত্যন্ত এলাকার রোগীদের সেবাদানের জন্য উপজেলাজুড়ে রয়েছে ৩৫টি কমিউনিটি ক্লিনিক ও ৫টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র।

ইত্তেফাক/মাহি