বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

উখিয়ায় ১ লাখ ৬০ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেফতার ৫ 

আপডেট : ১২ জুন ২০২২, ২০:৫৪

কক্সবাজারের উখিয়ার মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রবেশ করা এক লাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭ চট্টগ্রাম। 

শনিবার (১১ জুন) মাঝ রাতে সীমান্তের টেকনাফ সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে এসব ইয়াবা জব্দ ও উখিয়ার দুর্ধর্ষ মাদক ব্যবসায়ী বাবু ভাই গ্রুপের প্রধান "লুঙ্গি বাবুইয়া"কে তার ৪ সহযোগীসহ গ্রেফতার করা সম্ভব হয় বলে জানিয়েছেন র‌্যাব-৭ চট্টগ্রামের কমান্ডিং অফিসারের পক্ষে সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার। 

গ্রেফতারকৃতরা হলো, টেকনাফের উনচিপ্রাং এলাকার আমির হোসেনের ছেলে মো. মানিক (২৬), লম্বাবিল এলাকার মৃত সুলতান আহমেদের ছেলে শাহ আলম (৪৪), চাকমারকুল এলাকার নুর আহম্মদের ছেলে মো. জোবায়ের (২০) ও একই এলাকার, মো. ইউনুছের ছেলে মোহাম্মদ শাহ(২১) এবং উখিয়ার পালংখালী এলাকার মৃত ফরিদুল আলমের ছেলে শহীদুল ইসলাম বাবু (২০)।  

র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার জানান, র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে টমটম যোগে টেকনাফ হতে উখিয়া শহরের দিকে আসছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে ১১ জুন রাত সোয়া ১১টায় একটি আভিযানিক দল কক্সবাজারের উখিয়ায় কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কে অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে গাড়ি তল্লাশি শুরু করে। এ সময় একটি টমটম তল্লাশি করে মানিক, বাবু, শাহ আলম, জোবায়ের, মোহাম্মদ শাহকে আটক করে। পরবর্তীতে তাদের হাতে থাকা প্লাস্টিকের বস্তার ভিতর হতে তাদের নিজ হাতে বের করে দেয়ামতে ইট সাদৃশ্য স্কচটেপ ও কাগজ দ্বারা মোড়ানো অবস্থায় মোট ১ লাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারসহ। 

গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ মিয়ানমার সীমান্ত হতে ইয়াবা সরবরাহকারী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ইয়াবা সংগ্রহ করে পরবর্তীতে তা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম এবং ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট পাচার করে আসছে। 

তিনি আরও উল্লেখ করেন, উখিয়ায় স্থানীয়ভাবে বাবুইয়া গ্রুপ নামে পরিচিত এই গ্রুপ অত্যন্ত চতুরতা ও সূক্ষ্মতার সাথে সীমান্ত ঘেষা নাফ নদীতে মাছ ধরার ছলে লুঙ্গি ও মাছ ধরার জালে বিশেষ কায়দায় ইয়াবা ফিট করে স্থানীয় কিশোর এবং রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে দিনের পর দিন ইয়াবা ট্যাবলেট মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পাচার করে আসছিল। মূলত এই বাবুইয়া গ্রুপ অপেক্ষাকৃত কম বয়সে ইয়াবার ব্যবসা করে অধিক অর্থবিত্তের মালিক হওয়ায় তারা খুব সহজেই তাদেরকে উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করে যুবসমাজ তথা শিশু-কিশোরদেরও অবৈধ অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে এই জঘন্য ব্যবসায় নিয়ে আসছে। ইয়াবা পাচারের জন্য তারা সবসময়ই শিশু-কিশোরদের ব্যবহার করতো। উল্লেখ্য যে, বাবুইয়া গ্রুপ মিয়ানমার সীমান্তে ইয়াবা ট্যাবলেট পাচারের অন্যতম বড় সিন্ডিকেট ছিলো।

তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। 

ইত্তেফাক/এমএএম