পাইকগাছায় ৩০ গ্রামের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র মাধ্যম নৈরনদী। কিন্তু নদীতে বাঁধ ও নেটপাটা দিয়ে মাছ চাষ করায় বর্তমানে এ পথে পানি নিষ্কাশন প্রায় বন্ধ। ফলে বিপাকে পড়েছেন এসব গ্রামের মানুষ। তারা শিগগিরই নদীর বাঁধ ও নেটপাটা অপসারণের দাবি জানিয়েছেন।
বাদুড়িয়া গ্রামের মোবারেক আলী সানা জানান, নৈরনদীটি চাঁদখালী ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে মিনহাজ নদীতে পড়েছে। নদীটি প্রায় তিন কিলোমিটার দৈর্ঘ্য। যা কানাখালী মৎস্য সমবায় সমিতির ইজারায় রয়েছে। ইজরাদারের পক্ষে নদীটি দেখাশুনা করেন গোলক চন্দ্র মন্ডল। তিনি বাঁধ ও নেটপাটা দিয়ে ৩০/৩৫ খণ্ড করে প্রতি খণ্ড টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়েছে। অপরিকল্পিতভাবে নেটপাটা ও বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ফসলসহ এলাকার কাঁচা ঘরবাড়ি নষ্ট হয়।
এ বিষয়ে গোলক মন্ডল বলেন, নদীটি এ বছর কানাখালী মৎস্য সমবায় সমিতি পেয়েছে। আমি সমিতির পক্ষে দেখাশুনা করি। আমরা শিগগিরই বাঁধ ও নেটপাটা অপসরণ করব।
চাঁদখালী ইউপি চেয়ারম্যান শাহাজাদা মো. আবু ইলিয়াস বলেন, বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জানানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম বলেন, নদীটিতে বাঁধ বা নেটপাটা দিয়ে মাছ চাষ করা যাবে না। যদি কেউ তা করে তাহলে সেগুলো অপসারণ করা হবে।