শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বাঘাইছড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

আপডেট : ১৯ জুন ২০২২, ১৫:২৬

রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বেশ কয়েকটি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। 

রবিবার (১৯ জুন) সকালে কাচালং নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার কারণে নদীর পানি উপচে প্রবল বেগে নিম্নাঞ্চলে প্রবেশ করছে। এতে পৌরসভা, আতমলী, রূপকারী ও বঙ্গলতলী ইউনিয়নের আশপাশের প্রায় ১০টি এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে, মাছের ঘের ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। 

এদিকে, এখনো ঢলের পানি প্রবল বেগে নিম্নাঞ্চলে প্রবেশ করা অব্যাহত থাকায় প্রতি মুহূর্তে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। সদর বাজার প্লাবিত হয়ে অনেক দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করেছে। বাজারের রাস্তাসহ গ্রামীণ রাস্তাঘাট ঢলের পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। অনেক বাড়ি-ঘরেও পানি প্রবেশ করেছে। বিভিন্ন এলাকার অনেক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণে মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়ক ও পাহাড়ি এলাকায় মাটি ধসের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। তাই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাহাড়ে বসবাসকারী স্থানীয়দের সতর্ক করে মাইকিং করে সবাইকে নিরাপদ স্থানে বা আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। 

শরিফুল ইসলাম আরও জানান, প্রাকৃতিক এই দুর্যোগ মোকাবিলায় উপজেলার ১৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে পৌরসভার ১নং ওযার্ড মাস্টারপাড়া, পুরান মারিশ্যা, মধ্যমপাড়ার লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছে। তাদের গবাদি পশু পার্শ্ববর্তী উঁচু এলাকায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্রয় কেন্দ্রে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

এদিকে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পৌর মেয়র জমির হোসেন বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে উদ্ধার তৎপরতার জন্য নৌকা ও ট্রলার দিয়েছেন এবং সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে অবিরাম বৃষ্টির কারণে উদ্ধার তৎপরতায় ব্যাঘাত ঘটছে।

কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, উপজেলার নীচু জমিতে আবাদকৃত আউশ ধানের বীজতলাসহ গ্রীষ্মকালীন শাখ-সবজি পানিতে তলিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। 

রূপকারী ইউপি চেয়ারম্যান জেসমিন চাকমা বলেন, ‘রূপকারী ডেবার পাড়ে বসবাসকারী আনুমানিক ৪০ পরিবার বর্তমানে আংশিক পানিবন্দী রয়েছে। অবস্থার আরও অবনতি দেখলে তাদের নিকটস্থ আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাওয়ার জন্য আহবান করা হচ্ছে।’ 

ইত্তেফাক/মাহি