শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

‘শিল্পের নামে সত্যকে লুকানোর ইচ্ছে নেই’

আপডেট : ২২ জুন ২০২২, ০৮:১৫

‘জীবনানন্দ দাশের কবিতা আট বছর আগের একদিন এবং এসএম সুলতানের দ্য ফার্স্ট প্লান্টেশন চিত্রের দার্শনিক বোধ ধারার ওপর বক :দ্য সোল অব ন্যাচার সিনেমাটি নির্মাণ করছি। এটাকে ইকো ফিলোসফিক্যাল ফিল্ম বলতে পারেন। আসছে সেপ্টেম্বর থেকে শুটিং শুরু করবো। যদিও সিনেমাটির স্ক্রিপ্ট ৫-৬ বছর আগে লিখেছিলাম’—নিজের নতুন সিনেমা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কথাগুলো বলেন একাধিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয়ী নির্মাতা মাসুদ পথিক। 

এত আগে স্ক্রিপ্ট লেখার পরও শুটিং শুরু করতে দেরি হলো কেন?—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আসলে করোনার কারণে ৩ জন প্রযোজক হাতছাড়া হয়ে যায়। পরে বিভিন্নভাবে অনুদানের চেষ্টা করেই ব্যর্থ হই। যে কারণে সিনেমাটি শুরু করতে একটু দেরি হয়ে গেল।’ সিনেমাটির গল্প প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘সিনেমাটিতে মানুষের জীবনের সত্যকে সত্য হিসেবে উপস্থাপন করতে চাই। শিল্পের নামে সত্যকে লুকানোর ইচ্ছে নেই। মানুষের জীবনের খুব কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করব। জীবনের অন্তর্নিহিত যে সত্যগুলো মানুষ দেখতে পায় না সেগুলোই সিনেমাটিতে উঠে আসবে।’ মাসুদ পথিক বরাবরই গল্পকে প্রাধান্য দিয়ে নির্মাণ করে থাকেন। বলা চলে, তার সিনেমাতে কথাকথিত স্টারের উপস্হিতি নয়, মানুষের জীবনের গল্প দেখতে পান দর্শকরা। এবারও এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না। এ নিয়ে মাসুদ বলেন, ‘দেশ-বিদেশে দেখানোর লক্ষ্যে বক :দ্য সোল অব ন্যাচার সিনেমাটি নির্মাণ করছি। বাইরের দেশে আমাদের কোনো স্টারের কিন্তু মূল্য নেই। তারা ভালো নির্মাণ, সুন্দর গল্প এবং দার্শনিক বোধকে দেখতে চায়। সেই জায়গা থেকে আমি কোনো স্টার নয়, যে দার্শনিক বোদ্ধা এবং আমার সঙ্গে বক সিনেমায় যুদ্ধ করতে পারবে তাকে কাস্ট করেছি।’ ক্যারিয়ারে খুব অল্প সিনেমা দিয়ে রেকর্ডসংখ্যক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের পাশাপাশি দেশের বাইরের থেকেও নানা পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন মাসুদ পথিক। তারপরও দীর্ঘ বিরতির পর তিনি নতুন সিনেমার কাজে হাত দিলেন। এই বিরতির কারণ হিসেবে মাসুদ পথিক বলেন, ‘আমি তো আসলে সিনেমাকে শুধু বিনোদন হিসেবে দেখি না। আমার কাছে সিনেমার মূল বিষয় হলো গল্প ও দর্শন। সিনেমা জাতীয় এবং নৃতাত্ত্বিক ডকুমেন্টেশন। সেই জায়গা থেকে আমার মনে হয়, এ ধরনের সিনেমা নিয়মিত বানানো ঠিক না। তাছাড়া আমাদের সার্বিক চলচ্চিত্রের অবস্থা কিন্তু ভালো না। এমনকি আমার শেষ সিনেমাটি থেকে পুরো লগ্নি তুলে আনতে পারিনি। তবে আমি আশাবাদী, আগামী ৭-৮ বছরের মাঝে দেশের চলচ্চিত্রের অবস্থা ভালো হবে। কারণ বিভিন্ন ইনস্টিটিউট এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কাজ শিখে অনেক মেধাবী নির্মাতা নির্মাণে এসেছেন। তাদের থেকে ফুল সার্ভিস পেতে একটু সময় লাগবে।’

ইত্তেফাক/এমএএম

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন