হাটের ঝক্কিঝামেলা এড়াতে এখন অনেকেই অনলাইনে কোরবানির গরু কিনতে স্বাচ্ছদ্যবোধ করেন। কিন্তু অনলাইনে গরু কেনার পর যদি ক্রেতার পছন্দ না হয়, কিংবা অনলাইনে বলা হলো, গরুর ওজন হবে ‘এত’ কেজি, পরে দেখা গেল ওজন তার চেয়ে কম আছে। তাহলে কী হবে? এসব সমস্যা সমাধানে এখন থেকে অনলাইনে কেনা কোরবানির গরু পছন্দ না হলে বা যেমন বলা হয়েছে তেমন না হলে পুরো অর্থ ফেরত পাবেন ক্রেতারা।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফার্মগেটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ ও অবাধ পরিবহন নিশ্চিতকরণ-সংক্রান্ত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রতি বছরের মতো এবারও কোরবানির চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত পশু প্রস্ত্তত আছে। চলতি বছর কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা ১ কোটি ২১ লাখ ২৪ হাজার ৩৮৯টি। ফলে কোরবানির পশুর কোনো সংকট নেই। বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় এ খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। এখন মাংসে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ।’
মন্ত্রী বলেন, খামারি নিজ বাড়ি বা খামার থেকে পশু বিক্রি করলে তাকে হাসিল দিতে হবে না। কোনো খামারি তার পশু দূরবর্তী হাটে নিতে চাইলে রাস্তাঘাটে জোর করে নামাতে বাধ্য করা যাবে না। এছাড়া হাটে আনার পথে কেউ প্রাণী বিক্রি করলে তার কাছ থেকে ইজারা গ্রাহক জোর করে চাঁদা বা হাসিল গ্রহণ করতে পারবে না।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, রাস্তায় বা সেতুতে কোরবানির পশু পরিবাহী গাড়িকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে একটি নিয়ন্ত্রণকক্ষ চালু করা হবে। অধিদপ্তরের হটলাইন ১৬৩৫৮। পশু পরিবহনে খামারিদের সমস্যা সমাধানে এই নিয়ন্ত্রণকক্ষ কাজ করবে। সিলেট-সুনামগঞ্জ অঞ্চলে সাম্প্রতিক বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসের কারণে গবাদি পশু কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে গবাদি পশুর খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে, চিকিত্সাসেবা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করার বিষয়টিও চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।
সভায় মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা প্রমুখ উপস্হিত ছিলেন।