বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ভূঞাপুরে বন্যায় দুর্ভোগে মানুষ

আপডেট : ২৪ জুন ২০২২, ১৬:৫৯

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীসহ জেলার সব নদীতে পানি কমতে শুরু করেছে। তবে এখনও জেলার কয়েকটি উপজেলার বানভাসি পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। 

সরেজমিনে জেলার ভূঞাপুর উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নে গিয়ে দেখা গেছে, যমুনা নদীর পানিতে ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে পানি উঠে ঘরবাড়ি তলিয়ে রয়েছে। অনেক পরিবার ঘরবাড়ি ছেলে অন্য স্থানে চলে গেছে। আবার অনেকেই ঘরেই মাচা উঁচু করে তাতে চরম কষ্টে দিন পার করছেন। এছাড়া উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কষ্টাপাড়া, ভালকুটিয়া ও চিতুলিয়াপাড়া এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। 

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি পোড়াবাড়ী পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, ঝিনাই নদীর পানি জোকারচর পয়েন্টে ১২ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, ধলেশ্বরী নদীর পানি এলাসিন পয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ভূঞাপুর উপজেলার বেলটিয়াপাড়ার আলম মন্ডল বলেন, ‘এক সপ্তাহ ধরে পানি উঠেছে বাড়িতে। এতে ঘরে পানি উঠায় নৌকায় থাকা এবং খাওয়া-দাওয়া করতে হয়। অন্য কোন যাওয়ার জায়গা না থাকায় কষ্ট হলেও পানির মধ্যে বসবাস করতে হচ্ছে। তবে বাড়ির গবাদি পশুগুলো অন্যের বাড়িতে রেখেছি।’ 

আলমের স্ত্রী বিমলা বেগম বলেন, ‘প্রায় সময়ই পানিতে থাকতে হয়। এতে হাত ও পায়ে ঘাঁয়ের মত হয়েছে। কিছু করার নেই বাড়ি ছেড়ে তো যাওয়ার জায়গা নেই।’

উপজেলার গাবসারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ আলম শাপলা বলেন, ‘সাতদিন ধরে চরাঞ্চলের বেশ কিছুগ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। গত দুইদিন আগে স্থানীয় প্রশাসন পরিদর্শন করেছে। এখন পর্যন্ত বন্যার্তদের জন্য কোন বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।’ 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. ইশরাত জাহান জানান, উপজেলায় ৪ হাজার পরিবার বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তার জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।

ইত্তেফাক/এএএম