রোববার, ২৬ মার্চ ২০২৩, ১২ চৈত্র ১৪২৯
দৈনিক ইত্তেফাক

মুক্তাগাছায় বিনাচাষে জন্মে মূল্যবান ভেষজ তেলাকুচা

আপডেট : ২৬ জুন ২০২২, ১০:৫১

বিনা চাষে, অনাদরে এবং পরিচর্যা ছাড়াই পতিত জমি, বাড়ি ও রাস্তার আশেপাশে জন্ম নেয় বিভিন্ন প্রকারের মূল্যবান ভেষজ উদ্ভিদ। তেলাকুচা এসব ভেষজ উদ্ভিদের মধ্যে অন্যতম। এর ফুল সাদা এবং ফল পাকলে লাল টুকটুকে হয়। মুক্তাগাছার পথে-প্রান্তরে তেলাকুচা বেশি চোখে পড়ে। 

আয়ুর্বেদাচার্য শিবকালী ভট্টাচার্যের চিরঞ্জীব বনৌষধিতে তেলাকুচার ফল-পাতা ভেষজ চিকিৎসায় ব্যবহারের উল্লেখ আছে।

সর্দিতে, অধগত রক্তপিত্তে, আমাশয়ে, পান্ডু রোগে, শ্লেষ্মার জ্বর, হাঁপানি, ডায়াবেটিস, মায়ের দুধহীনতায় ব্যবহার উল্লেখযোগ্য ।

মুক্তাগাছায় তেলাকুচার ছাড়াও অগণিত ভেষজ গাছ-পালা পাওয়া যেতো। এখানকার বহু কবিরাজ বা ভেষজ চিকিৎসক সুনামের সঙ্গে চিকিৎসা করছেন। স্থানীয় চিকিৎসকদের খ্যাতি ছিল দেশে-বিদেশে। ভেষজ উদ্ভিদ গাছপালা কমে যাওয়ায় প্রধান উপকরণ ঘাটতি দেখা দেয় ধীরে ধীরে। এতে এই চিকিৎসায় ভাটা পড়তে থাকে।

মানুষের বসবাসের জমি কমতে থাকায় নতুন নতুন বাড়িঘর তৈরি ও ঝোপঝাড় কেটে আবাদি জমি তৈরির কারণে হারিয়ে যেতে থাকে মূল্যবান অসংখ্য উদ্ভিদ। মূল্যবান ভেষজগুলো লতাপাতা ও গাছগাছালি যেন হারিয়ে না যায় সেজন্য সচেতনতা বৃদ্ধির দাবি সচেতন মহলের । 

স্থানীয় বাসিন্দা বৃদ্ধ কামাল বলেন, ‘এখন তো এলাকায় মোড়ে মোড়ে এলোপ্যাথি ডাক্তারের অভাব নেই। আগে এত ছিল না। আমরা কোনো অসুখে বিভিন্ন ঔষধী গাছের পাতা-মূলই ব্যবহার করতাম। এখনও ব্যবহার করি।পাতার অনেক গুণ।’

আয়ুর্বেদ চিকিৎসক সম্পা রায় বলেন, ‘বিভিন্ন রোগে ভেষজ চিকিৎসায় তেলাকুচা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকি। তেলাকুচা পাতা প্রোটিন এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ। এটিতে প্রচুর আয়রন, ক্যালশিয়াম রয়েছে। অরুচি ও পেটের পীড়া নিরাময়ে এই শাক খুবই উপকারী।’

ইত্তেফাক/মাহি