শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

জনদুর্ভোগ

দেড় মাস ধরে পানির নিচে নবোদয়ের সড়ক 

আপডেট : ২৯ জুন ২০২২, ২০:৪৩

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদপুরের নবোদয় হাউজিং সোসাইটির রোড ‘১/সি’-এর ‘বি’ ব্লকে পুরো রাস্তাজুড়ে ময়লা পানির ছড়াছড়ি। স্থানীয় বাসিন্দারা যথাসম্ভব কাপড় গুটিয়ে নোংরা-আবর্জনার পানি মাড়িয়ে হেঁটেই পার হচ্ছে নিজেদের গন্তব্যস্থানে। 

সরজমিনে দেখা গেছে, নবোদয় হাউজিং রোড ‘১/সি’ এর ‘বি’ ব্লকের রাস্তায় দেড় মাস ধরে হাঁটু সমান নোংরা পানি জমে রয়েছে। এতে পয়োবর্জ্যসহ বিভিন্ন আবর্জনা ভাসছে। বৃষ্টি হলেই সড়কের নিচু বাড়িঘরে ও দোকানপাটের ভেতর পানি উঠে যায়।  এছাড়া এই রাস্তায় যেখানে-সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। রাস্তাটির নিচের সুয়ারেজ লাইনে আটকে থাকা ময়লার কারণে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থাও বন্ধ হয়ে গেছে। 

স্থানীয় বাসিন্দা জাহিদ হাসান, পুলক খন্দকার ও আফসানা জামান ইত্তেফাক অনলাইনকে জানান, প্রায় দেড় মাস ধরে নবোদয় হাউজিং সোসাইটির রোড ‘১/সি’-এর ‘বি’ ব্লকে পুরো রাস্তাজুড়ে ময়লা পানির ছড়াছড়ি। এলাকার শিক্ষার্থীরা  প্রতিদিন জুতা, মোজা ভিজিয়ে দুর্গন্ধময় ময়লা পানি মাড়িয়ে স্কুল, কলেজে যাতায়াত করে। ফলে দুর্ভোগে পড়ছে এই রাস্তায় চলাচলকারী শিশু, মহিলা, বয়স্কসহ সাধারণ মানুষ। প্রতিদিন ময়লা পানি মাড়িয়ে যাওয়ার ফলে আমাদের বিভিন্ন চর্মরোগসহ পানিবাহিত নানা রোগ হচ্ছে। 

ময়লা-আবর্জনা জমে বন্ধ পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা। ছবি: ইত্তেফাক।

এছাড়া রাস্তাটির ওয়াসার লাইনে ময়লা পানি প্রবেশ করায় পানিতে দুর্গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। ফলে এলাকাবাসীর মাঝে ডাইরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে।   

স্থানীয় বাসিন্দারা আরও জানান, ‘নবোদয়ের সড়করে জলাবদ্ধতা বিষয়ে একাধিকবার কমিশনার কার্যালয়ে অবহিত করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। ‘৩০’ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার আবুল কাশেমকে জানানোর পর কমিশনার তার সচিবকে দায়িত্ব দেন। আর সচিব আজ-কাল-পরশু এই বলে সময়ক্ষেপণ করে যাচ্ছেন।’ 

এ বিষয়ে কমিশনার আবুল কাশেম ও তার কার্যালয়ে ইত্তেফাক অনলাইন হতে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। 

পুরো রাস্তা জুড়েই খানাখন্দ। ছবি: ইত্তেফাক।

মোহাম্মদপুরের নবোদয় হাউজিং সোসাইটির রোডের জলবদ্ধতা বিষয়টি জানেন না বলে দাবি করেন ডিএনসিসি’র অঞ্চল-৫-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (উপসচিব) মোতাকাব্বীর আহমেদ। 

তিনি ইত্তেফাক অনলাইনকে বলেন, ‘আগামীকাল আমাদের টিমকে পাঠাবো। এরপর সরজমিনে পরিদর্শন করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ইত্তেফাক/এনএ/এএইচপি