শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

মশা মারতে কামান নয়, ড্রোন ব্যবহার করবে ডিএনসিসি

আপডেট : ৩০ জুন ২০২২, ২০:৫৪

প্রবাদে আছে মশা মারতে কামান। তবে মশা মারতে কামান ব্যবহার না করলেও এবার ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) ব্যবহার করবে ড্রোন। আর কোন বাড়ি বা প্রতিষ্ঠানে এডিসের লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) সকালে রাজধানীর উত্তরা সেক্টর-৪ এলাকায় ড্রোনের মাধ্যমে মশার উৎস সনাক্তকরণ কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, আগামী ২ থেকে ১১ জুলাই (১০ দিন) ঢাকা উত্তরের আওতাধীন প্রতিটি বাসা বাড়িতে অত্যাধুনিক ড্রোনের মাধ্যমে মশার উৎস খুঁজতে আমরা চিরুনি অভিযান পরিচালনা করবো।
মেয়র আতিক বলেন, সিটি করপোরেশন ড্রোন থেকে ছবি নিয়ে তথ্য উপাত্ত নিয়ে যেসব বাড়িতে মশার লার্ভা পাওয়া যায় তার একটি তথ্যভান্ডার তৈরি করবে। যা আগামী বছরে মশক নিধন কার্যক্রমে কাজে লাগবে। আমরা নোভালিউরন নামে ট্যাবলেট জলাশয় ও বাসাবাড়ির পানির মিটারে ব্যবহার করছি যা তিনমাস পর্যন্ত পানিতে মশার জম্ম নিয়ন্ত্রণ করে।

আতিকুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, রাজধানীর হাসপাতাল ও রোগীদেরকে ডেঙ্গুর বিষয়ে সঠিক তথ্য প্রদান করুন। ডেঙ্গু আক্রান্তদের অনুরোধ করবো আপনাদের সঠিক ঠিকানা দিন। আমরা আপনাদের জরিমানা করবো না। আমরা শুধু ওই বাসায় গিয়ে আশেপাশে মশার কীটনাশক ছিটিয়ে দেব। কিন্তু আপনি যদি ভুল তথ্য দেন তাহলে তো আমরা সঠিকভাবে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম চালাতে পারবো না। 

মশার উৎস সনাক্তকরণ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে মেয়র উত্তরা সেক্টর-৪ কল্যাণ সমিতি মাঠে সমিতির উদ্যোগে স্থাপিত Qista Mosquito Trap Machine (মশা ধরার মেশিন) এর কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এটি মশা নিধনের একটি আধুনিক মেশিন। মেশিনটি একাধারে এডিস এবং কিউলেক্স মশা capture করতে পারে। এই মেশিনটি চতুর্দিকে ২৪৫ ফুট বা ৮০ মিটার ব্যাপী কার্যকরী। এটি Qista নামক একটি অ্যাপের মাধ্যমে পরিচালিত হয় যার মাধ্যমে তাৎক্ষনিক কতটি মশা ধরা পড়লো তা জানা যায় এবং মেশিনটি চালু বা বন্ধ করা যায়। এটি সম্পূর্ণরূপে শব্দ দূষণমুক্ত। পাইলট প্রকল্প হিসেবে উত্তরা ৪নং সেক্টরের কল্যাণ সমিতি মাঠ ও পার্কে ৬টি মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। 

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের সাথে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ইত্তেফাক/এনএ/এএইচপি