চার মাস পরই অস্ট্রেলিয়া বসবে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচ, জিম্বাবুয়ে সফরে সমান সংখ্যক ম্যাচ এবং এশিয়া কাপ খেলবে বাংলাদেশ দল। তাই বলা চলে ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে এই সিরিজ দিয়েই টাইগারদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাচ্ছে।
তবে এই প্রস্তুতির মিশনে কিছুটা ঘাটতি থাকছেই কারণ মিডল অর্ডারে নির্ভরযোগ্য মুশফিকুর রহিম নেই সিরিজে। হজব্রত পালনের জন্য ছুটি নিয়েছেন তিনি। তার বদলি হিসেবে সুযোগ পাওয়া ইয়াসির আলী রাব্বিও ছিটকে গেছেন ইনজুরিতে। তাছাড়া ওপেনিংয়ে তামিম ইকবালও নেই। অবশ্য এ ফরম্যাটে তার ফেরাটা অনিশ্চিত।
বিশ্বকাপের সমীকরণ মাথায় থাকলেও আজ থেকে শুরু হতে চলা সিরিজে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দলের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ মাঠের ক্রিকেটে ছন্দ ফেরানো। ক্যারিবিয়ানে আসার পর থেকে ২২ গজে ধুঁকছে বাংলাদেশ দল। দুই টেস্টেই হেরেছে টাইগাররা। বিবর্ণ ছবিটাকে আড়ালে ফেলতে জয় প্রয়োজন। সেই গুরুভারই এখন মাহমুদউল্লাহ বাহিনীর উপর বর্তেছে।
আজ ডমিনিকার উইন্ডসর পার্কে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১১ টায় শুরু হবে ম্যাচটি। একই ভেন্যুতে আগামীকাল সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
অবশ্য খুদে ফরম্যাটের নিকট অতীতও সুবিধার নয় টাইগারদের। শেষ ১০ ম্যাচে জয় মাত্র একটি। চলতি বছরের শুরুতে আফগানদের হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
আজ একাদশের কম্বিনেশনেও স্পিনাররা প্রাধান্য পেতে পারেন। কারণ উইন্ডসর পার্কের উইকেট অতীতে স্পিনারদেরই সাহায্য করেছিল। সেক্ষেত্রে স্পিন আক্রমণে সাকিব, নাসুম, শেখ মেহেদী থাকতে পারেন। পেস বিভাগে তাসকিন, মুস্তাফিজ, শরীফুলের সুযোগ পাওয়ার কথা। ওপেনিংয়ে লিটন দাসের সঙ্গী হতে পারেন বিজয়। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে একাদশের বাকি দুই সদস্য হতে পারেন আফিফ, সোহান।
টি-টোয়েন্টি সিরিজের ভেন্যু উইন্ডসর পার্কে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বড্ড অনিয়মিত। বাংলাদেশ সিরিজ দিয়ে ৫ বছর পর এই মাঠে ফিরছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। সর্বশেষ ২০১৭ সালে টেস্ট ওয়েস্ট ইন্ডিজ-পাকিস্তান টেস্ট খেলেছিল ডমিনিকার এই স্টেডিয়ামে। আট বছর আগে (২০১৪ সালে) অনুষ্ঠিত হয়েছিল টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এখানে ওয়ানডে ম্যাচ হয়েছিল শেষবার ২০১০ সালে।
টানা দুই দিন এই মাঠে দুটি টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কার্যত এই সিরিজ দিয়ে উইন্ডসর পার্কে নতুন প্রাণের সঞ্চার হবে।