সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

মোংলায় গ্যাসের উদগিরণস্থল পরিদর্শনে জেলা প্রশাসন, মন্ত্রণালয়ে চিঠি

আপডেট : ০৫ জুলাই ২০২২, ০১:৪৯

মোংলায় চিংড়ি ঘের থেকে ওঠা গ্যাসের উদগিরণস্থল পরিদর্শন করেছেন বাগেরহাট জেলা প্রশাসন। সোমবার (৪ জুলাই) বিকেলে মিঠাখালী গ্রামের পূর্বপাড়ার বাসিন্দা দেলোয়ার শেখের চিংড়ি ঘেরের গ্যাসের উদগিরণ সরেজমিন পরিদর্শন করেন বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) খন্দকার মো. রেজাউল করিম ও জেলা এলজিআরডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শরিফুজ্জামান। 

গ্যাসের উদগিরণস্থল পরিদর্শন করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) খন্দকার মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘সেখানে আপতত খুব বেশি একটা ভয়ের কিছু নেই, তবে যদি উদগিরণ বেড়ে যায় সেক্ষেত্রে অবশ্যই ঝুঁকি রয়েছে। তাই উদগিরণস্থল থেকে লাইন টেনে যে রান্নাবান্না করা হচ্ছে সেটি বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। কারণ এ থেকে দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।’ 

তিনি আরো বলেন, ‘পর্যবেক্ষণে সেখানে গ্যাসের অস্তিত্ব আছে বলে মনে হয়েছে, কারণ বের হওয়া দাহ্য পদার্থে আগুন জ্বলছে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। পরিকল্পিতভাবে এ গ্যাসের ব্যবহারের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মঙ্গলবার সকালেই ওই মন্ত্রণালয়ে লিখিত প্রতিবেদনও পাঠানো হবে।'

বাগেরহাট এলজিআরডি'র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শরিফুজ্জামান বলেন, ‘ঘটনাস্থলে গ্যাসের অস্তিত্ব আছে। এখন বিশেষজ্ঞরা মাইনিং করে দেখবেন কত নিচে এবং কি পরিমাণ অর্থাৎ কত কিউসেক-মিউসেক গ্যাস রয়েছে এবং তা লাভজনক হবে কি না, লাভজনক হলে উত্তোলনের উদ্যোগ নিবেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। এছাড়া এ গ্যাসের উদগিরণ ফোর্স বাড়লে তাতে ঝুঁকিও থাকছে।’

উল্লেখ্য, প্রায় ৬ বছর ধরেই মোংলার মিঠাখালী ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বপাড়ার দেলোয়ার শেখের পৌনে তিন বিঘার চিংড়ি ঘের থেকে এই গ্যাসের উদগিরণ হয়ে আসছে। ৬ বছর আগে ঘের মালিক ওই জমি থেকে বালু-মাটি উত্তোলনের জন্য ৬০ ফুট গভীরতার পাইপ বসালেই সেখান থেকে গ্যাস উঠতে থাকে। তখন তা কম হলেও গত সপ্তাহ থেকে তার উদগিরণ বেড়ে গেছে। আগে দুই এক জায়গা থেকে বের হলেও এখন তা সাত আট জায়গা থেকে বের হচ্ছে। বেশি পরিমাণ বের হওয়ায় গত সোমবার সেখান থেকে লাইন টেনে তা দিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে চুলায় রান্না করছেন দেলোয়ার পরিবার। 

ইত্তেফাক/এসজেড