শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

আলোর মুখ দেখেনি ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি 

আপডেট : ০৬ জুলাই ২০২২, ০১:৫৭

প্রায় চার দশক ধরে অত্যন্ত জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার ভবন এখন মরণফাঁদে পরিণত। অর্থ বরাদ্দ না আসায় প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কার হয়নি। যে কোনো সময় ধসে পড়তে পারে। নিরাপত্তার স্বার্থে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক ক্রীড়া সংস্থার ভবনটি পরিত্যক্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে সেখানে প্রবেশ না করতে সাইন বোর্ড দিয়েছেন।

উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার স্টেডিয়াম ভবনের পাশে রয়েছে বিশাল মাঠ। এই ভবনে বসেই খেলাধুলা পরিচালিত হয়ে আসছে। খেলাধুলার পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান এই ক্রীড়া সংস্থার ভবনে হয়েছে।

৪৩ বছর পূর্বে উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা ভবন নির্মিত হলেও এটি আর সংস্কার করা হয়নি। ভবনের ছাদে গাছপালা, আগাছা ও লতাপাতা জন্মে বেহাল অবস্থা। ছাদ এবং দেওয়াল চুঁইয়ে পানি ঢুকছে। খসে পড়ছে ইট-সুরকি-বালি ও রড। ২০১৬ সালে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে লাল অক্ষরে লিখে সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। খেলোয়াড়দের মধ্যে আবু কাওসার চপল, সজিব ও সাধারণ জনগণের দাবি মির্জাপুর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার ভবন সংস্কার ও খেলার মাঠের দ্রুত উন্নয়ন প্রয়োজন। 

উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান মনির বলেন, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার স্টেডিয়াম ভবনটি তিন যুগ ধরে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ভবনটি নতুনভাবে তৈরি করার জন্য স্থানীয় এমপি, ডিসি, ইউএনও এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে পরামর্শক্রমে অর্থ বরাদ্দ চেয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে আবেদনসহ চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ২০১৯ সালে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবলে পুরস্কার বিতরণ করতে গিয়ে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল মির্জাপুরে উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা ভবন ও স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেন। জরাজীর্ণ অবস্থা দেখে একটি নতুন ভবন নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি এখনো আলোর মুখ দেখেনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি মো. হাফিজুর রহমান বলেন, যুব সমাজকে সঠিক পথে পরিচালনার জন্য খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই। প্রয়োজন একটি ক্রীড়া সংস্থা ভবন ও ভালো একটি খেলার মাঠ।

ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও এফবিআইসিসির পরিচালক এবং টাঙ্গাইল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি খান আহমেদ শুভ এমপি বলেন, যুব সমাজকে খেলাধুলার প্রতি মনোনিবেশ এবং উত্সাহিত করার জন্য ক্রীড়া সংস্থার ভবনটি নির্মাণ ও সংস্কার অতি জরুরি হয়ে পড়েছে। অর্থ বরাদ্দ পেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে ভবন নির্মাণসহ সামনে খেলার মাঠ উঁচু করা হবে।

ইত্তেফাক/ইআ